ফোনে মান ভাঙালেন দিলীপ, মধ্যাহ্ন ভোজনে বিজেপির রাজ্যসভাপতিকে আমন্ত্রণ বৈশাখীর
ফোনে মান ভাঙালেন দিলীপ, মধ্যাহ্ন ভোজনে বিজেপির রাজ্যসভাপতিকে আমন্ত্রণ বৈশাখীর
বৈশাখী আর শোভন চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে ল্যাজে গোবরে অবস্থা বিজেপির। দলে আসার পরেও একের পর এক বিতর্ক তৈরি করতে শুরু করেছেন এই দুই প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা। বান্ধবী বৈশাখীকে গুরুত্ব না দেওয়ায় অসন্তুষ্ট শোভন চট্টোপাধ্যায়। কিছুতেই বিজেপির বিজয়া সম্মেলনিতে যেতে রাজি নন শোভন চট্টোপাধ্যায়। এই নিয়ে তুমুল জলঘোলা শুরু হয়েছে বিজেপিতে। শেষে মধ্যস্থতায় অবতীর্ণ হলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বৈশাখীকে ফোন করেন তিনি। তাতেই বরফ গলেছে। দিলীপ ঘোষকে মধ্যাহ্ন ভোজনে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন বৈশাখী।
শোভন- বৈশাখী সংকট
বিজেপিতে যাওয়ার পর থেকে শোভন চট্টোপাধ্যায়কে তেমন সক্রিয় হতে দেখা যায়নি। দুর্গাপুজোয় ষষ্ঠীর দিন প্রধানমন্ত্রীর পুজো উদ্বোধনেও ছিলেন না শোভন- বৈশাখী। তাঁদের বিজেপিতে যোগদান নিয়ে তীব্র জটিলতা তৈরি হয়েছিল। কেন প্রধানমন্ত্রীর পুজো উদ্বোধনে ছিলেন না শোভন এই নিয়ে নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছিল। যদিও পরে শোভন জানিয়েছিলেন তিনি দলের পক্ষ থেকে তেমন কোনও আমন্ত্রণ পাননি। এদিকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ দাবি করেছিলেন সকলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।
বৈশাখীর গুরুত্ব নিয়ে চাপান উতোর
অমিত মালব্য রাজ্যে আসার পর শোভনের বাড়িতে গিয়েছিলেন বিজেপির দুই নেতা। তারপরেই জল্পনা শুরু হয়েছিল বিজেপিতে গুরুত্ব বাড়ছে শোভনের। বিধানসভা নির্বাচনকে চার্গেট করেই এগোচ্ছিলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়রা। দিলীপ ঘোষ নিজেও ইঙ্গিত দিয়েছিলেন বিজেপিতে গুরুত্ব বাড়তে চলেছে শোভনের। তবে বৈশাখীকে নিয়ে কোনও কথা শোনা যায়নি তাঁদের কাছে।
অভিমানী শোভন
বৈশাখীকে গুরুত্ব না দেওয়ায় অভিমান করেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। শোভন নিজের সক্রিয়তা দেখাবেন না বলে জানিয়েছিলেন। বিজেিপর বিজয়া সম্মিলনীতে যোগ দেবেন না বলে জানিয়েছিলেন শোভন। তারপরেই তৎপর হন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি ফোন করেন বৈশাখীকে। তাতেই মানভঞ্জন হয়েছে বলে সূ্ত্রের খবর। বৈশাখী দিলীপ ঘোষকে মধ্যাহ্ন ভোজনে তাঁর বাড়িতে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। দিলীপের ফোনেই বরফ গলেছে বলে অনুমান।
কোন পথে শোভন-বৈশাখী
একুশের ভোট শুরু হতে হাতে মাত্র আর কয়েক মাস সময় রয়েছে। তার মধ্যেই ঘর গুছিয়ে নিতে চাইছে বিজেপি। সেকারণে দিল্লি থেকে পাঁচ নেতাদে রাজ্যের পাঁচ জোনের দায়িত্বে পাঠানো হয়েছে। এই পঞ্চপান্ডব এখন েজলায় জেলায় ঘুরে সংগঠনিক তৎপরতা শুরু করেছে। বিজেপি নেতারা। কিন্তু কিছুতেই শোভন ও বৈশাখী জট কাটিয়ে উঠতে পারছেন না তাঁরা।