ভোটের রাজনীতির জন্য বাংলায় অনুপ্রবেশ, ঢুকছে উগ্রপন্থী! মমতাকে নিশানা দিলীপের
ভোটের রাজনীতির করার জন্য বাংলায় অনুপ্রবেশ ঘটানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
ভোটের রাজনীতির করার জন্য বাংলায় অনুপ্রবেশ ঘটানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। শনিবার ধর্মতলার যুব স্বাভিমান মঞ্চ থেকে দিলীপ ঘোষ আওয়াজ তুললেন অনুপ্রবেশ নিয়ে। তাঁর অভিযোগ, ভোটের জন্য আনা হচ্ছে রোহিঙ্গাদেরও। বাংলাদেশ থেকে ঢুকছে উগ্রপন্থী। এর দায় সম্পূর্ণ রাজ্য সরকারের।
দিলীপ ঘোষের কথায়, বাংলায় বেআইনি অস্ত্র কারখানা তৈরি হয়েছে। আর বাংলাদেশ থেকে আসছে উগ্রপন্থী। বাংলা হয়ে উঠছে অশান্ত। সারা দেশে গোলা-বন্দুকের আওয়াজ পাওয়া যায় না, কিন্তু বাংলায় কান পাতলেই তা শোনা যায়। বাংলার বাতাসে ভেসে বেড়ায় বারুদের গন্ধ। বাংলায় আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। আসলে এমার্জেন্সি চলছে বাংলায়।
বাংলায় কাজ নেই, যুবকদের যেতে হচ্ছে ভিনরাজ্যে। বাংলার যুবকরা সবথেকে বেশি অবহেলিত। কাজ নেই, নেই সম্মান। স্কুল-কলেজে শিক্ষা নেই, শিক্ষকও নেই স্কুলে। স্কুল-কলেজ হয়ে উঠেছে মারপিটের আখড়া। বাংলায় গণতন্ত্রকে হত্যা করা হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এই অবস্থা থেকেই বাংলাকে মুক্ত করতে হবে।
[আরও পড়ুন : অমিতে 'সৌজন্য' পার্থর! তৃণমূলের ধিক্কারে দিলীপের সংঘাত-বার্তা, যুদ্ধং দেহি মেজাজ বঙ্গে]
দিলীপ ঘোষের কটাক্ষ, পশ্চিমবঙ্গ নাকি এগিয়ে চলেছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, এগিয়ে বাংলা। কিন্তু কোন দিকে এগিয়ে বাংলা। বাংলায় ক্রমশ পিছন দিকে এগিয়ে চলেছে। পশ্চিমবঙ্গে সবথেকে বেশি শিশু পাচার হচ্ছে। নারী নির্যাতন হচ্ছে। শিক্ষায় দুর্নীতি হচ্ছে। তোলাবাজি হচ্ছে, শিল্প বন্ধ হচ্ছে। এইসব কাজেই বাংলা এগিয়ে রয়েছে।
তিনি অভিযোগ করেন, বাংলায় গণতন্ত্র নেই, নেই শাসন। এখানে পুলিশের কাজ শুধু মিথ্যা মামলা করা। মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে বিজেপিকে কেস দেওয়া ছাড়া পুলিশের কোনও কাজ নেই। রাজ্যের এই অপশাসন দুর করতে হবে। সেজন্য এদিনের পূণ্য লগ্ন থেকে শপথ নিতে হবে বাংলায় পরিবর্তনের।