‘মাটির ছ’ফুট নিচে পাঠিয়ে দেব’, শালীনতার সীমা ছাড়িয়ে এ কী বললেন দিলীপ
পুরসভার নির্বাচনী প্রচারে এদিন হলদিয়ায় একাধিক সভা করেন তৃণমূলকে অশালীন ভাষায় আক্রমণ করেন দিলীপ ঘোষ। শাসকদলকে রীতিমতো হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
ফের শালীনতার সীমা ছাড়ালেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। রবিবার হলদিয়ার নির্বাচনী জনসভা থেকে তৃণমূলকে অশালীন ভাষায় আক্রমণ করলেন তিনি। তৃণমূলকে আক্রমণ করে দিলীপবাবু বলেন, 'বেশি বাড়াবাড়ি করলে মাটির ৬ ফুট নিচে পাঠিয়ে দেব। অনেক সাহাবুদ্দিনকে আমরা সোজা করেছি। আর দু'একটাকে সোজা করতে বেশি সময় লাগবে না।'
পুরসভার নির্বাচনী প্রচারে এদিন হলদিয়ায় একাধিক সভা করেন দিলীপ ঘোষ। সেখানে শাসকদলকে রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, 'পুলিশ দিদির চামচাগিরি করছে। চামচা পুলিশ সরে যাক। তারপর দেখে নেব। হিসেবটা বুঝে নেব আমরাই। সবাইকে মাটির ছ'ফুট নিচে পাঠিয়ে দেব।'
তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, 'মনে রাখবেন, ভারতবর্ষের সীমাটা অনেক বড়। হলদিয়াটাই শুধু ভারতবর্ষ নয়। তাই হলদিয়াকে ভারতবর্ষ না ভেবে বাস্তবটা ভাবুন। হলদিয়ার পর পশ্চিমবঙ্গ, সেই সীমানাটাও বড় নয়। ঝাড়খণ্ড, বিহার কিংবা অসম গেলেও আমি আছি। এমনকী বাংলাদেশ গেলেও রক্ষা নেই। যেখানেই যান তুলে নিয়ে এসে ছাল ছাড়িয়ে নেব। তারপর নুন দিয়ে রোদ্দুরে রাখব।'
এদিন বিজেপি নেতা-কর্মীদের সিআইডি দিয়ে হেনস্থা করা হচ্ছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, 'সিবিআই-এর বদলা হিসেবে রাজ্য সরকার আমাদের কর্মীদের মিথ্যে মামলায় ফাঁসাচ্ছে। আটক করে হেনস্থা করছে। কিন্তু এভাবে আমাদের আমাদের কর্মীদের আটকানো যাবে না। দিন আসছে, তৃণমূলের সব জারিজুরি শেষ করে দেব।'
দিলীপ ঘোষের এ ধরনের অশালীন আক্রমণের নিন্দা করেন তৃণমূলের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, 'কোনও রাজনৈতিক নেতা এই ভাষায় কথা বলতে পারেন বলে আমার জানা ছিল না। ওইসব হুঁশিয়ারিকে তৃণমূল ভয় পায় না। রাজনৈতিকভাবেই বিজেপিকে শেষ করবে রাজ্যের মানুষ। ওদের কোনও ঠাঁই এই বাংলায় নেই।'