এনআরসির দিকে তিনি যাবেনই না! কোন উপায়ে সমস্যার সমাধান, বললেন দিলীপ ঘোষ, দেখুন ভিডিও
তিনি এনআরসির দিকে যাবেনই না। এনআরসি নিয়ে প্রেসক্লাবের অনুষ্ঠানে এমনটা বলেই ভাষণ শুরু করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।
তিনি এনআরসির দিকে যাবেনই না। এনআরসি নিয়ে প্রেসক্লাবের অনুষ্ঠানে এমনটা বলেই ভাষণ শুরু করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি বলেন, সবাইকেই সিটিজেনশিপ দিয়ে সমস্যার সমাধান করে দেওয়া হবে। দিলীপ ঘোষ বলেন, এনআরসি তারা করেননি। শুরু হয়েছিল রাজীব গান্ধীর আমলে।
'এনআরসি শুরু করেছিল কংগ্রেস'
এনআরসি নিয়ে নিজেদের দায় কার্যত ঝেড়ে ফেলতে চাইলেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন এনআরসি তারা করেননি। শুরু হয়েছিল অসমে, রাজীব গান্ধীর সময়ে। অস্তিত্ব বিপন্ন হওয়ার জেরে স্থানীয়রা দাবি তুলেছিলেন। তা মেনে নিয়ে রাজীব গান্ধী চুক্তি করেছিলেন বলেও জানান দিলীপ ঘোষ। সরকার দায় গ্রহণ না করায় সাধারণ মানুষ যায় সুপ্রিম কোর্টে। সুপ্রিম কোর্টই বলে দেয় এনআরসি হওয়া উচিৎ।
এনআরসি নিয়ে যুক্তি
দিলীপ ঘোষ বলেন, বিশ্বের সব স্বাধীন সভ্য দেশেই এনআরসি রয়েছে। আমরা কি অসভ্য, না পরাধীন, প্রশ্ন করেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, লড়তে হলে সুপ্রিম কোর্টে যান। বিজেপির সঙ্গে গুঁতোগুতি করে লাভ নেই। যদি মায়ানমার থেকে পাকিস্তান পর্যন্ত একটাই দেশ থাকত তাহলে তো এনআরসির প্রয়োজনই হত না। বলেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, দেশে অনুপ্রবেশ বাড়ছে তা বলেছিলেন তৎকালীন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইন্দ্রজিৎ গুপ্ত। বলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একাধিক রাজ্যপালও সেকথা বলেছিলেন বলে মন্তব্য করেন দিলীপ ঘোষ।
রাজ্যে বেড়েছে মুসলিম জনসংখ্যা
দিলীপ ঘোাষ বলেন দেশ ভাগের সময় রাজ্যে মুসলিম জনসংখ্যা ছিল ১৯ শতাংশ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন এখন মুসলিম জনসংখ্যা ৩৩ শতাংশ। এই ফারাকটা হল কীভাবে। কোথা থেকে বাড়ল এই সংখ্যা। তাঁরা তো কোথাও থেকে এসেছে। বলেন দিলীপ ঘোষ। উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, মুর্শিদাবাদে বিধানসভা কেন্দ্রের সংখ্যা বেড়েছে।
সিপিএম এ কংগ্রেসকে আক্রমণ
ভাষণের শুরুতেই দিলীপ ঘোষ বলেন পূর্ববর্তী দুই বক্তা পাক্কা রাজনীতিবিদ। তাঁরা কী করে হ্যাঁ কে না করেন, সেই ভাবেই তারা বলেছেন। দিলীপ ঘোষের এই কথার সঙ্গে, হাতে তালি পড়ে প্রেসক্লাবের অনুষ্ঠানে। তিনি বলেন ভারত ভাগের জন্য দায়ী কংগ্রেস ও কমিউনিস্টরা। তিনি বলেন, রাজ্যে সিপিএম-এর কোনও বডি নেই। আছে আত্মা।