DA Demand: মমতার সরকারের কাছে ডিএ-র দাবি সরকারি কর্মীদের! একসঙ্গে রাস্তায় ২৯ টি সংগঠন
ডিএ (DA) সরকারি কর্মীদের (Govt Employee) অধিকারী। হাইকোর্টের তরফে ডিএ দিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সরকারকে নির্দেশ দেওয়ার পরে অতিক্রান্ত ৩ মাস। তারপরেও সরকারের কাছ থেকে কোনও উত্তর মেলেনি। সেই পরিস্থ
ডিএ (DA) বা মহার্ঘ ভাতা সরকারি কর্মীদের (Govt Employee) অধিকার। হাইকোর্টের তরফে ডিএ দিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সরকারকে নির্দেশ দেওয়ার পরে অতিক্রান্ত ৩ মাস। তারপরেও সরকারের কাছ থেকে কোনও উত্তর মেলেনি। সেই পরিস্থিতিতে রাজ্যের পুজো উদ্যোক্তাদের প্রায় ২৫৮ কোটি টাকার অনুদান দেওয়া নিয়ে মামলা হয়েছে। সেখানে ডিএ-র বিষয়টিও জুড়ে দিয়েছেন এক আবেদনকারী। সেই পরিস্থিতিতে এদিন কলকাতার রাজপথে সরকারি কর্মীরা। এদিন ২৭ টি সংগঠন একসঙ্গে মিছিল করে। মিছিল থেকে স্বচ্ছভাবে সরকারি নিয়োগের দাবি তোলা হয়েছে। মিছিল সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে শুরু গয়ে যায় ধর্মতলা পর্যন্ত।
যৌথ কর্মসূচিতে রাস্তায়
এদিন
ডিএ-র
দাবিতে
যৌথ
কর্মসূচি
ছিল
বিভিন্নি
সংগঠনের।
সেই
তালিকায়
বিভিন্ন
বিভাগের
সরকারি
কর্মীরা
ছাড়াও
ছিলেন
শিক্ষক-শিক্ষা
কর্মী
এণন
কী
নার্স
রাও।
শনিবার
ডিএ-র
দাবিতে
হওয়া
মিছিলে
ছিল
প্রচুর
মানুষের
ভিড়।
ডিএ-র
দাবিতে
সরকারি
কর্মীরা
রাস্তায়
নামেন।
আন্দোলনের
নামা
সরকারি
কর্মীরা
জানিয়েছেন,
ডিএ-র
দাবি
ছাড়াও,
তাঁদের
দাবির
মধ্যে
রয়েছে
স্বচ্ছ্বভাবে
নিয়োগের
দাবিও।
৩১ শতাংশ ডিএ বাকি
এদিন বিভিন্ন সরকারি কর্মী সংগঠনের মূলত দুটি দাবিতে স্লোগান তোলেন। তারা বলেছেন সব সরকারি শূন্যপদ পূরণ করতে হবে। আর ৩১ শতাংশ ডিএ দ্রুত মেটাতে হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন রাজ্য সরকার ৩১ শতাংশ ডিএ দিয়েছে। কিন্তু এ রাজ্যে তা বকেয়া। ডিএ-র দাবিতে ইতিমধ্যেই বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারি কর্মীদের সংগঠন কো-অর্ডিনেশন কমিতির তরফে। মঙ্গলবার তাঁরা বেলা ১১ টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত কর্মবিরতি পালন করার ডাক দিয়েছেন।
বঞ্চিত করার অভিযোগ
২৯ টি বিভিন্ন সরকারি সংগঠনের ডাকে শনিবারের এই মিছিল। সরকারি কর্মীদের অভিযোগ, সরকার ইচ্ছা করে তাঁদের ডিএ থেকে বঞ্চিত করেছে। তাঁরা বলছেন, পুজোর জন্য অনুদান বাড়ানো যায়, ৬০ ছাজার টাকা করে দেওয়া যায়, কিন্তু কোনওভাবেই ডিএ দেওয়া যায় না। দিনের পর দিন সরকারি পদও পূরণ হয় না।
হক ২০ মে হাইকোর্টে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন এবং বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চের তরফে রাজ্য সরকারকে তিন মাসের মধ্যে বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দিতে নির্দেশ দেয়। তা নিয়ে গত তিনমাস কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ না করে গত শুক্রবার হাইকোর্টে সেই রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।
মিছিলের গতি পথ
সরকারি কর্মীদের এই মিছিলের সামনের দিকে রাখা হয়েছিল মহিলাদের। এই মিছিল শুরু হয় সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে। পরে তা ধর্মতলার রানি রাসমনি এভিনিউতে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়। প্রায় ১০ হাজার সরকারি কর্মী এদিনের কর্মসূচিতে সামিল হয়েছিলেন বলে দাবি করা হয়েছে।