চলন্ত গাড়িতেই মদ্যপান? গাড়ি থেকে বোতল উদ্ধারে বিতর্কে বিক্রম
চলন্ত গাড়িতেই কি মদ্যপান করেছিলেন বিক্রম? বিক্রমের গাড়ি থেকে বোতল উদ্ধারের পর এখন সেই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে সিটের তদন্তকারী দলের কাছে।
চলন্ত গাড়িতেই কি মদ্যপান করেছিলেন অভিনেতা বিক্রম? তাঁর গাড়ি থেকে বোতল উদ্ধারের পর এখন সেই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে সিটের তদন্তকারী দলের কাছে। ফরেনসিক তদন্তের সময় বিক্রমের গাড়ির থেকে উদ্ধার হয় একটি বোতল। সেই বোতল ঘিরেই এখন রহস্য দানা বেঁধেছে। উদ্ধার হওয়া বোতলটিও ফরেনসিক তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
রাসবিহারীতে গাড়ি দুর্ঘটনায় মডেল বান্ধবী সনিকার মৃত্যু হয়। জখম হন অভিনেতা বিক্রমও। চালকের আসনে ছিলেন তিনি। এই তদন্তের জালে ধীরে ধীরে জড়িয়ে পড়ছেন বিক্রম। প্রথমে মদ্যপানের অভিযোগ অস্বীকার। পরে পুলিশের জেরার মুখে স্বীকারোক্তি, 'মদ্যপান করেছিলাম কিন্তু মত্ত ছিলাম না।' তারপর গাড়ির গতি নিয়েও মিথ্যাচার করেছেন বিক্রম- এমনটাই অভিযোগ তদন্তকারীদের।
আর এই নানা অভিযোগের মধ্যেই ফের বিতর্ক দুর্ঘটনাগ্রস্থ গাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া একটি বোতলকে ঘিরে। বোতলের মধ্যে মিলেছে অবশিষ্টাংশ পানীয়ও। তা পরীক্ষা করার পরই চূড়ান্ত হবে ওইদিন বিক্রম গাড়িতে মদ্যপান করেছিলেন কি না। বিক্রমকে এই বিষয়ে পুনরায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হতেও পারে। এই বিয়ারের বোতল উদ্ধার মোড় দিতে পারে সনিকা মৃত্যু তদন্ত।
এরই মধ্য সনিকার মোবাইল ফোন নিয়েও একপ্রস্থ নাটক হয়ে গেল। ঘটনার পর থেকেই খোঁজ মিলছিল না সনিকার মোবাইলের। অবশেষ তা উদ্ধার হল সনিকার পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকেই। এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকাও সমলোচিত। ওই ফোন পরিবারের সদস্যদের হাতে গিয়েছে বন্ধুদের হাত ঘুরেই। এর আগে বিক্রম ঘনিষ্ঠ এক অভিনেত্রী দাবি করেছিলেন, রক্তমাখা ওই ফোনটি বিক্রমের ফোন ভেবে তার হাতে দেওয়া হয়েছিল, তিনি তা বিক্রমের নয় দেখে পুলিশের হাতে তুলে দেন।