বাইপাস সংলগ্ন যাদবপুর-বাঘাযতীনে ডায়ারিয়ার প্রকোপ, অসুস্থ বহু
ডায়ারিয়ার প্রকোপ ইএম বাইপাস সংলগ্ন বাঘাযতীন-যাদবপুরের বিস্তীর্ণ এলাকায়। পুরসভার সরবরাহ করা পানীয় জল থেকেই এই ডায়ারিয়া ছড়িয়েছে বলে অনুমান। পানীয় জল পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
ডায়ারিয়ার প্রকোপ ইএম বাইপাস সংলগ্ন বাঘাযতীন-যাদবপুরের বিস্তীর্ণ এলাকায়। পুরসভার সরবরাহ করা পানীয় জল থেকেই এই ডায়ারিয়া ছড়িয়েছে বলে অনুমান। পানীয় জল পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাত থেকে আক্রান্তরা বাঘাযতীন হাসপাতালে ভিড় করতে শুরু করেন। এরা মূলত বাঘাযতীন এবং যাদবপুর এলাকার বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার রাতে বাঘাযতীন হাসপাতালেই প্রায় ২৫৭ জন ভর্তি ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। শনিবারেও বহু মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হন। শনিবার রাত ৮ টা থেকে রবিবার সকাল ৭ টা পর্যন্ত ১৩৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আক্রান্তের সংখ্যা এতটাই বেশি যে বহু মানুষকে হাসপাতালে জায়গা দেওয়া যায়নি। অনেককেই স্যালাইন দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।
ধাপার আজাদ-হিন্দ জল প্রকল্প থেকে ডায়ারিয়া ছড়ানোর অভিযোগ ই এম বাইপাস সংলগ্ন একাধিক একাধিক এলাকায়। তালিকায় পূর্বালোক থেকে শুরু করে মুকুন্দপুর, গড়িয়া স্টেশন, পঞ্চশায়র, বাঘাযতীন, যাদবপুরের একটা অংশ। প্রকোপ সব থেকে বেশি ১০২ নম্বর ওয়ার্ডে। এই ওয়ার্ডের বিরোধী কাউন্সিলর রিঙ্কু নস্কর জানিয়েছেন, এলাকার প্রায় ৬০ শতাংশ মানুষ জল কিনে খান। তাঁদের সমস্যা হয়নি। পুরসভার জল যাঁরা খান অর্থাৎ প্রায় ৪০ শতাংশ মানুষেরই সমস্যা।
১০২ নম্বর ওয়ার্ড ছাড়াও ডায়ারিয়া আক্রান্ত ওয়ার্ডগুলির মধ্যে রয়েছে ১০১, ১০৭, ১০৮, ১০৯ এবং ১১০ নম্বর ওয়ার্ড।
ডায়ারিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা ৬০০ ছাড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। তবে জল থেকেই হয়েছে কিনা সেটা এখনই বলা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন মেয়র। শনিবার বাঘাযতীন হাসপাতালে গিয়েছিলেন মেয়র। স্থানীয় অপর এক কাউন্সিলর শাসকদলের অরূপ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, পুরসভার হেলথ ইউনিট খোলা রয়েছে। পর্যাপ্ত ওষুধ এবং ওআরএস-এর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
আক্রান্তদের স্যালাইন দেওয়া হচ্ছে। অধিকাংশেরই ডিহাইড্রেশনে আক্রান্ত। জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। স্থানীয় সূত্রে খবর, বেসরকারি হাসপাতাল এবং পুরসভার স্বাস্থ্যকেন্দ্রেও গিয়েছিলেন অনেকেই।