সাত সকালে ভয়াবহ আগুন শহরে, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা
Array
সাত সকালে শহরের বুকে ভয়াবহ আগুনের ছবি দেখা গেল। একদম সাত সকালেই আগুন লেগে যায় কুঁদঘাটের একটি বাজারে। যে পরিমাণ আগুন লেগেছে তাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
দমকলে খবর
জানা গিয়েছে যে এদিন সকাল সাতটায় এই আগুন লেগে যায়। আগুন লেগে যায় কুঁদঘাটের বাবুরাম ঘোষ বাজারে। প্রথমে একটি কোন থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। অল্প সময়ের মধ্যেই বিরাট জায়গাকে ঘিরে ফেকে আগুনের লেলিহান শিখা। খবর যায় দমকলের কাছে।
দমকলের চারটি ইঞ্জিন
খবর পেয়ে দমকলের চারটি ইঞ্জিন সেখানে এসে উপস্থিত হয় আগুন নেভানোর জন্য। তবে এখনও বোঝা যায়নি যে ঠিক কি থেকে এই আগুন লেগে গেল। প্রাথমিক ভাবে যা বলা হয়ে থাএ সেই শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন লেগে থাকতে বলে অনুমান করা হচ্ছে। তবে পুরো বিষয়টি পরে তদন্ত করে দেখা হবে। আগে আগুনকে নিয়ন্ত্রণে কিভাবে আনা যায় সেই চেষ্টা করছে দমকল। প্রয়োজনে দমকলের আরও কয়েকটি ইঞ্জিন আনা হতে পারে।
তবে বিগত কয়েক মাসে খুব একটা আগুনের বড় ঘটনা ঘটেনি কলকাতা ও শহরতলিতে। মাস খানেক আগে পুজো আগে হাওড়া ময়দানে একটি দোকানে আগুন লেগে গিয়েছিল। একটি ব্যাগের দোকানে ভয়াবহ আগুন লাগে। দুপুর ১২টা নাগাদ আগুন দেখতে পাওয়া যায়। তারপর তা মুহূর্তে ব্যাগের দোকান থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে গোটা ফ্লোরে। কালো ধোঁয়ায় ছেয়ে যায় পুরো এলাকা। পুজোর সময়ে ব্যস্ত বাজারে এই আগুনে পণ্ড হয়ে গিয়েছিল পুজো মার্কেটিং।
ময়দানে আগুন
ভয়াবহ এই আগুনের জেরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে। দমকলের একাধিক ইঞ্জিন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালাচ্ছিল। ঘটনাস্থলে যায় হাওড়া থানার পুলিশও। হাওড়া শহরের ঘিঞ্জি এলাকায় ভয়াবহ আগুনের লেলিহান শিখায় পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছিল পুজোর বাজারের সিংহভাগ জিনিসপত্র। পুজোর মুখে ওই বিপর্যয়ে ব্যবসায়ীরা বিরাট ক্ষতির মুখে পড়েন।
ব্যাগের দোকানে আগুন
১২টা নাগাদ ব্যাগের দোকান থেকে প্রথম আগুন দেখতে পান ক্রেতারা। ব্যবসায়ী, ক্রেতা-বিক্রেতা, স্থানীয় বাসিন্দারা সবাই মিলে জল ঢেলে সেই আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। কিন্তু বহু দাহ্য পদার্থ মজুত থাকায় সেই আগুন মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় দমকলে। দমকলও তৎক্ষণাৎ চলে আসে। কিন্তু কাজ শুরুর আগে ব্যাগের দোকানের আগুন গ্রাস করে নেয় পুরো ফ্লোরকে। প্রথমে দমকলের দুটি ইঞ্জিন আসে ঘটনাস্থলে আসে। তারপর বাড়ানো হয় ইঞ্জিন সংখ্যা। পরে আরও চারটি ইঞ্জিয় আসে ঘটনাস্থলে। বিধ্বংসী আগুন অ্যারেস্ট করাই ছিল প্রাথমিক লক্ষ্য। তারপর আগুন নিয়্ন্ত্রণের চেষ্টা করা হয়। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে দীর্ঘ সময় লেগে যায়। গোটা ফ্লোর আগুনের গ্রাসে চলে যায়।
হাওয়ালার মাধ্যমে আর্থিক তছরুপ, ফাঁস ৯০৩ কোটি টাকার দুর্নীতি