মাস পয়লা শুরু সঙ্কট দিয়েই, নোটের দাওয়াইয়েও রোগ সারার লক্ষ্মণ নেই
মাস পয়লায় তাহলে কি বেতনের টাকা অ্যাকাউন্ট বন্দি হয়েই রয়ে যাবে? আশা-আশঙ্কার দোলাচলে সাধারণ মানুষ। বেতন-ধাক্কায় নোটের দাওয়াইয়ে এখন পর্যন্ত রোগ সারার লক্ষ্মণ নেই রাজ্যে!
কলকাতা, ১ ডিসেম্বর : মাস পয়লার সকাল শুরু সেই সঙ্কট দিয়েই। এটিএমে টাকার অমিলের চিত্রই সকাল থেকে ফুটে উঠেছে চারিদিকে। মাস পয়লায় তাহলে কি বেতনের টাকা অ্যাকাউন্ট বন্দি হয়েই রয়ে যাবে? আশা-আশঙ্কার দোলাচলে সাধারণ মানুষ। বেতন-ধাক্কায় নোটের দাওয়াইয়ে এখন পর্যন্ত রোগ সারার লক্ষ্মণ নেই রাজ্যে!
আশ্বাস ছিল, বছরের শেষ মাস পয়লা থেকেই পর্যাপ্ত পরিমাণ টাকা মিলবে এটিএমগুলিতে। ব্যাঙ্ক থেকে তোলা যাবে একসঙ্গে মোটা অঙ্কের টাকা। সকাল থেকেই মানুষ এটিএমে গিয়ে দেখেছে সেই ভোগান্তির ছায়া। এটিএমে ঝুলছে 'অনলি দু'হাজার' বোর্ড। ব্যর্থ মনোরথ হয়ে ফিরতে হয়েছে গ্রাহকদের। আর বহু ঘোরার পর যিদও বা এমন একটা এটিএম মিলেছে, যেখানে রয়েছে ১০০ বা ৫০০ টাকার নোট, সেখানে লম্বা লাইন।
অতএব ৮ নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বরে এসেও ছবিটা আদতে বদল হয়নি। গত কয়েকদিন ধরেই একটা সঙ্কট মানুষের মনে বাসা বেঁধেছিল, মাস পয়লা বেতনের কী হবে? এরই মধ্যে আশার আলো নিয়ে রাজ্যে 'হাজির' হয় ৭৮০ কোটি টাকা। বুধবার সকালেই রিজার্ভ ব্যাঙ্কে এসে পৌঁছয় ওই টাকা। দোলাচলে থাকা মানুষগুলের মুখে একটু হাসি ফোটে। রাতে আবার ৫৪৪ কোটি টাকা আসে রাজ্যে। সকাল থেকেই ব্যাঙ্ক বা এটিএম গুলিতে টাকা মিলবে এমনটাই মনে করা হয়েছিল।
সর্বশেষ ফলাফল এটিএমগুলির ভাঁড়ার শূন্যই। এবার ব্যাঙ্কগুলি খুললে কী হয় পরিস্থিতি, সেটাই দেখার। মানুষের দুর্ভোগের শেষ আজ হবে কি?