প্রয়াত ডেপুটি স্পিকার হায়দার আজিজ সফি! মুখ্যমন্ত্রীর শোকপ্রকাশ
রাজ্য বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার হায়দার আজিজ সফির জীবনাবসান। সল্টলেকের এক বেসরকারি হাসপাতালে বুধবার প্রয়াত হয়েছেন তিনি।
রাজ্য বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার হায়দার আজিজ সফির জীবনাবসান। সল্টলেকের এক বেসরকারি হাসপাতালে বুধবার প্রয়াত হয়েছেন তিনি। রাজ্যের প্রথম তৃণমূল সরকারের ক্যাবিনেটমন্ত্রী ছিলেন তিনি। রাজ্যের ডিজিপি ফায়ার অ্যান্ড এমারজেন্সি সার্ভিসেস হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। চাকরি থেকে অবসরের পরে তিনি রাজনীতি যোগ দেন।
রাজ্য বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার হায়দার আজিজ সফির মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
I am deeply saddened to know that Haider Aziz Safwi, Deputy Speaker of West Bengal Legislative Assembly is no more.
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) December 12, 2018
He was a very senior and respected person associated with us over a long time.
His passing away is indeed a great loss 1/2
হায়দায় আজিজ সফির বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। আক্রান্ত হয়েছিলেন হৃদরোগে। মিন্টোপার্কের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। মঙ্গলবারই ছাড়া পান তিনি। ফের বুধবার সকালে অসুস্থ হয়ে পড়েন। সল্টলেকের বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
রাজ্য পুলিশ থেকে হায়দার আজিজ সফি অবসর নিয়েছিলেন ২০০৫ সালে। ২০০৯-র বিধানসভা নির্বাচনের আগে তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। উলুবেড়িয়া পূর্ব আসন থেকে তাঁকে প্রার্থী করে তৃণমূল। প্রথমবার নির্বাচনে দাঁড়িয়েই জয়লাভ করেন তিনি। তাঁকে ক্যাবিনেট মন্ত্রী করেছিল তৃণমূল।
কর্মজূবনে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। অবিভক্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার পুলিশ সুপার ছিলেন তিনি। ডিআইজি প্রেসিডেন্সি রেঞ্জ হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। পরবর্তী সময়ে কলকাতা পুলিশের ডিসি, ডিজি ফায়ার অ্যান্ড এমারজেন্সি সার্ভিসেস, ডিজি এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ হিসেবেও কাজ করেছেন। ভাল কাজের নিরিখে তাঁকে পুলিশ মেডেল দিয়ে সম্মানিত করা হয়েছিল। তাঁর জন্ম ১৯৪৫-এর ২৬ ফেব্রুয়ারি।
অনেকে বলেন, তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সঙ্গে মতবিরোধের কারণে কলকাতার পুলিশ কমিশনার পদে সুযোগ পাননি তিনি।
২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে উলুবেড়িয়া পূর্ব আসন থেকে প্রায় ১৯ হাজার ভোটে জয়ী হন। সেই সময় ক্যাবিনেট মন্ত্রী করা হয়েছিল তাঁকে। ২০১৬-তে তাঁকে টিকিট দেওয়া হয়। তবে জেতার মার্জিন কমে যায়। ১৬২৬৯ ভোটে জয়ী হন তিনি। তৃণমূলের তরফে বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার করা হয় তাঁকে। তবে পরবর্তী সময়ে দীর্ঘদিন ধরেই তিনি অসুস্থ ছিলেন।