মেয়ে সুকন্যার বয়ানই হাতিয়ার! অনুব্রত মণ্ডলকে জেরার প্রস্তুতি ইডির
ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট তাঁর। জমা টাকার উৎস কিংবা সেখানে জমা পড়া টাকা সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না। ইডির আধিকারিকদের জিজ্ঞাসাবাদে এমনটাই তথ্য দিয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডলের কন্যা সুকন্যা মণ্ডল। তার সেই বয়ানকে হাতিয়ার করেই অনুব্র
ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট তাঁর। জমা টাকার উৎস কিংবা সেখানে জমা পড়া টাকা সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না। ইডির আধিকারিকদের জিজ্ঞাসাবাদে এমনটাই তথ্য দিয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডলের কন্যা সুকন্যা মণ্ডল। তার সেই বয়ানকে হাতিয়ার করেই অনুব্রত মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদের পথে এগোচ্ছেন ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা। এক্ষেত্রে সুকন্যার বয়ান অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে যেতে পারে বলেও দাবি আইনজীবীদের একাংশের।
সই নিয়ে সুকন্যার অজান্তে লেনদেন
ইডি সূত্রের দাবি, সুকন্যা মণ্ডলের থেকে সই নেওয়া হত। কিন্তু ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে যে লেনদেন হয়েছে, সেসম্পর্কে সুকন্যা কিছুই জানতেন না। তিনি কোনও দিন ব্যাঙ্কে গিয়ে নগদ টাকা জমা দেননি বলেও নাকি দাবি করেছেন সুকন্যা, খবর ইডি সূত্রের। তাঁর অ্যাকাউন্টে প্রতিদিন নগদ জমা পড়ার ব্যাপারে প্রশ্ন করা হয়েছিল সুকন্যাকে। প্রথমে এব্যাপারে এড়িয়ে গেলেও, বিভিন্ন সম্পত্তি এবং ব্যাঙ্কের নথিতে তাঁর সই দেখিয়ে প্রশ্ন করা হয়। এব্যাপারে সুকন্যা মণ্ডল লিখিত বয়ান দিয়েছেন। পাশাপাশি তাঁর মৌখিক বয়ানও রেকর্ড করা হয়েছে। সেখানে সুকন্যা হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিকে দেখিয়ে বলেছেন, সব নথি তিনি নিয়ে আসতেন, আর বাবার নির্দেশ অনুযায়ী তিনি সই করতেন।
মেয়ের বয়ান যেতে পারে বাবার বিরুদ্ধে
তিনি কিছুই জানেন, সব জানেন বাবা অনুব্রত মণ্ডল কিংবা হিসাব রক্ষণ মণীশ কোঠারী। এব্যাপারে সুকন্যা মণ্ডল নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন বলেই মনে করছেন আইনজীবীদের একাংশ। সেক্ষেত্রে তাঁর এই বয়ান বাবা অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে যেতে পারে। এব্যাপারে ইডি সেই বয়ানকেই আইনি হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে পারে।
৩ দিনে ২২ ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদ
সুকন্যা মণ্ডলকে প্রথমে ২৭ অক্টেবর দিল্লিতে তলব করা হয়েছিল। কিন্তু বান্ধবীর চিকিৎসার কারণে তিনি ভিন রাজ্যে রয়েছেন বলে সময় চেয়েছিলেন। এরপর ইডি তাঁকে ফের ২ নভেম্বর হাজির হতে বলে। সেই মতো ২ নভেম্বর থেকে পরপর ৩ দিন সুকন্যা মণ্ডলকে জেরা করা হয়। এর মধ্যে হিসাবরক্ষণ মনীষ কোঠারিকে মুখোমুখি বসিয়েও জেরা করা হয় সুকন্যাকে।
অনুব্রতকে জেরার সম্ভাবনা
বর্তমানে আসানসোল জেলে বন্দি রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। সেক্ষেত্রে এই সপ্তাহের মধ্যেই ইডির আধিকারিকরা সুকন্যা মণ্ডলের লিখিত বয়ানের ওপরে নির্ভর করে অনুব্রত মণ্ডলকে দেরা করতে পারেন। তার জন্য ইডির তরফে আদালতে অনুমতি নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গিয়েছে।
সুকন্যার নামে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি
ইডির তদন্তকারীদের দাবি অনুযায়ী, সুকন্যা মণ্ডল একাধিক সংস্থার ডিরেক্টর। রয়েছে চালকল, জমিও। এছাড়াও তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকা জমা পড়েছে। ২০১৮-র পর থেকে বোলপুরে একাধিক ব্যাঙ্কে দৈনিক টাকা জমার মতো ঘটনাও ঘটেছে। যা সুকন্যা মণ্ডলের আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পরে ২০১৪ সালে সুকন্যা মণ্ডল প্রাথমিক শিক্ষিকার চাকরি পান।
উত্তরে ঘূর্ণাবর্ত আর দক্ষিণে নিম্নচাপ! সপ্তাহ শেষে বাংলার বিভিন্ন জেলায় আবহাওয়ার পরিবর্তনের সম্ভাবনা