বর্ষা বিদায় নিতেই ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব দক্ষিণ কলকাতা জুড়ে
বর্ষা বিদায় নিলেও কিছুতেই ডেঙ্গু আতঙ্ক পিছু ছাড়ছে না কলকাতাবাসীর। সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহের পর থেকে ডেঙ্গুর প্রকোপে দক্ষিণ কলকাতা থেকে এখনও পর্যন্ত এক জনের মৃত্যু খবর মিলেছে
বর্ষা বিদায় নিলেও কিছুতেই ডেঙ্গু আতঙ্ক পিছু ছাড়ছে না কলকাতাবাসীর। সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহের পর থেকে ডেঙ্গুর প্রকোপে দক্ষিণ কলকাতা থেকে এখনও পর্যন্ত এক জনের মৃত্যু খবর মিলেছে। বিজয়গড়, রামগড় ও যাদবপুর সংলগ্ন এলাকাতেই ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১০০। হাজরা ও ভবানীপুর এলাকাতে নতুন করে প্রায় ৫০জন বাসিন্দার ডেঙ্গু আক্রান্তের খবর জানা গেছে।
পুজো মিটতে না মিটতেই ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব দক্ষিণ কলকাতায় জাঁকিয়ে বসায় স্বাভাবিকভাবেই কপালে চিন্তার ভাঁজ আরও চওড়া হয়েছে কলকাতা মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য আধিকারিকদের। প্রায় প্রত্যহই রামগড়, শ্রী কলোনি,হাজরা, ভবানীপুর শরত বোস রোড সহ রাজা সুবোধ চন্দ্র রোড সংলগ্ন এলাকায় নতুন করে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এমনকি কলকাতা পৌরসভার ৯ নম্বর বরোর অন্তর্গত আলিপুর, হরিশ মুখার্জী রোড, চেতলা সহ খিদিরপুর চত্বর থেকেও ডেঙ্গু আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে বলে পৌরসভারই এক স্বাস্থ্য আধিকারিক জানান। মানুষকে সচেতন করার পাশাপাশি ডেঙ্গু মোকাবিলায় আগামী এক থেকে দেড় মাস কলকাতা পৌরসভাকে তার সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপাতে হবে বলে মনে করছেন কলকাতা মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য দফতরের অপর এক আধিকারিক।
চলতি বছরের বর্ষার মাঝে সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে দক্ষিণ কলকাতার বিদ্যাসাগর কলোনি, বাঘাযতীন গল্ফ গ্রিন ও যোধপুর পার্ক সংলগ্ন এলাকায় প্রায় ৫০ জন বাসিন্দার ডেঙ্গু আক্রান্তের খবর মেলে। কলকাতা পৌরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক বলেন ' পুজোর আগে ডেঙ্গুর প্রকোপ বড় আকার ধারণ না করলেও উৎসবের কথা মাথায় রেখে আমরা ডেঙ্গু মোকাবিলায় সদা তৎপর ছিলাম। পুজোর মরসুমেও ডেঙ্গু শনাক্তকরণ শিবির গুলি সর্বদা খোলা ছিল। ' তিনি আরও বলেন ' শয়ে শয়ে মানুষ ওই শিবির গুলিতে জ্বর সহ ডেঙ্গুর একাধিক উপশম নিয়ে হাজির হন এই কদিনে। যার মধ্যে পৌরসভার ৯ নম্বর বরোর বাসিন্দাদের মধ্যে ডেঙ্গু প্রাদুর্ভাব বেশি লক্ষ্য করা গেছে।'