'তিতলি'র প্রভাবে বৃষ্টি শুরু, সতর্কতা জারি! ফেরাবে কি 'আয়লা'র মতো বীভৎসতা, উঠছে প্রশ্ন
উপকূলে আছড়ে পড়ার সময় যত এগিয়ে আসছে, তার প্রভাবও বাড়ছে। ইতিমধ্যেই দিঘা-সহ পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশা উপকূলে প্রবল জলোচ্ছ্বাস চলছে। একই সঙ্গে বৃষ্টিও শুরু হয়ে গিয়েছে।
উপকূলে আছড়ে পড়ার সময় যত এগিয়ে আসছে, তার প্রভাবও বাড়ছে। ইতিমধ্যেই দিঘা-সহ পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশা উপকূলে প্রবল জলোচ্ছ্বাস চলছে। একই সঙ্গে বৃষ্টিও শুরু হয়ে গিয়েছে। বৃষ্টি শুরু হয়েছে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায়। বিশেষ করে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে।
ঝড় ও বৃষ্টির সতর্কতা জারি
সময় এত এগোচ্ছে আবহাওয়া দফতরের তরফে সতর্কবার্তারও কিছুটা করে পরিবর্তন হচ্ছে। প্রথমে শুক্রবার পর্যন্ত বৃষ্টির কথা বলা হলেও, এবার শনিবার পর্যন্ত উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়ায় বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী এলাকায় বুধবার রাত থেকেই ঘন্টায় ৮০ কিমি বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। ফলে সাধারণ মানুষের মনে ২০০৯-এর ২৫ মে-তে দুপুরে আয়লা আছড়ে পড়ার ঘটনা মনে করিয়ে দিচ্ছে।
২০০৯-এর ২৫ মে আয়লার আঘাত
পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশা উপকূলের মানুষদের মন থেকে আয়লার বীভৎসতা এখনও মুছে যায়নি। বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপের জেরে ঘূর্ণিঝড় আয়লা আছড়ে পড়েছিল। ঝড়ের বেগ ছিল ঘন্টা. ১১০ কিমি। দু'রাজ্যে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। সুন্দরবনে কয়েক হাজার কিলোমিটার নদী বাঁধ ভেঙে গিয়েছিল। সেবার যে জেলাগুলিতে ক্ষতি হয়েছিল সব থেকে বেশি, তাদের মধ্যে ছিল কলকাতা, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, বর্ধমান, পূর্ব মেদিনীপুর। এবারও সেই জেলাগুলিতেই ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
তিতলি'র প্রভাবের সম্ভাবনা উত্তরবঙ্গেও
আবহাওয়া দফতরের জারি করা সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, মুর্শিদাবাদ, নদিয়াতে যেমন বৃষ্টি হবে, ঠিক তেমনই তিতলির প্রভাব পড়তে পারে মালদা, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরেও।
সমুদ্র উত্তাল, সতর্কবার্তা জারি
তিতলির প্রভাবে উত্তাল সমুদ্র। বড় বড় ঢেউ আছড়ে পড়ছে। প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত ওড়িশা উপকূল থেকে প্রায় আড়াইশো কিমি দূরে রয়েছে তিতলি। বৃহস্পতিবার ভোরে ওড়িশার গোপালপুর এবং অন্ধ্রের কলিঙ্গপত্তনমের মধ্যে কোনও জায়গায় আছড়ে পড়বে। সমুদ্রে ঝোড়ো হাওয়া ঘন্টায় ১৩০ থেকে ১৪০ কিমি বইতে পারে বলে জানানো হয়েছে। তবে তা স্থলভাগে প্রবেশের পরে ঝড়ের বেগ কিছুটা কমবে বলে অনুমান আবহাওয়া দফতরের। পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের মৎস্যজীবী এবং দিঘার পর্যটকদের সমুদ্রে নামার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। হুগলি বন্দরেও জারি করা হয়েছে সতর্কবার্তা।
১৩ অক্টোবর শনিবার পর্যন্ত বৃষ্টি চললেও, ষষ্ঠীর আগেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে অনুমান আবহাওয়া দফতরের।