বিধ্বংসী রূপে আছড়ে পড়ল 'তিতলি'! ভাঙল বাড়ি, বিচ্ছিন্ন সড়ক যোগাযোগ, দেখুন ভিডিও
ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়ল ঘূর্ণিঝড় তিতলি। মূল ভূখণ্ডে যখন তিতলি আছড়ে পড়ে তখন ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘন্টায় ১৪০ কিমি।
ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়ল ঘূর্ণিঝড় তিতলি। মূল ভূখণ্ডে যখন তিতলি আছড়ে পড়ে তখন ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘন্টায় ১৪০ কিমি। তিতলিলর জেরে ওড়িশার গোপালপুরে প্রবল ঝড়ের সঙ্গে বৃষ্টি চলছে। এদিকে তিতলির প্রভাবে বাংলাতেও বৃষ্টি চলছে। তবে গতিমুখ পরিবর্তনের পর গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টি বাড়বে বলে অনুমান।
আছড়ে পড়ল তিতলি
মূল ভূখণ্ডে আছড়ে পড়ার পর খেল দেখাতে শুরু করেছে ঘূর্ণিঝড় তিতলি। গোপালপুর-বেরহামপুর সড়ক যোগাযোগ ইতিমধ্যেই বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। ভেঙে পড়েছে বহু মাটির বাড়ি। বিদ্যুতের খুঁটিও উপড়ে পড়েছে অনেক জায়গায়।
সরানো হয়েছে বাসিন্দাদের, স্থগিত পরীক্ষা
তিতলির শক্তিকে অনুধাবন করে ওড়িশার গোপালপুর এবং অন্ধ্রের কলিঙ্গপত্তনম থেকে প্রায় তিনলক্ষ মানুষকে আগেভাগেই অপেক্ষকৃত নিরাপদস্থানে সরি নিয়ে যাওয়া হয়। ওড়িশা জুড়ে স্কুল-সহ অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। স্থগিত রাখা হয়েছে পরীক্ষা।
২ দিন প্রভাব বাংলায়
সমুদ্রে তিতলির বেগ ঘন্টায় প্রায় ১৬৫ কিমি থাকলেও, স্থলভাগে ঢোকার পর তার বেগ কমছে। এবং এর গতিপথের পরিবর্তন হচ্ছে। তবে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী এলাকায় ঘন্টায় ৮০ কিমি বেগে ঝড় হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। আগামী ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত তিতলির প্রভাবে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে বৃষ্টি চলবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। বিশেষ করে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়ায় বৃষ্টি চলবে।
উত্তল সমুদ্র
তিতলির জেরে ভয়ঙ্কর উত্তাল সমুদ্র। বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত পরিস্থিতি বজায় থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। মৎস্যজীবী ও পর্যটকদের সমুদ্রে না নামতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।