১০০ কোটির শুল্ক ফাঁকির অভিযোগ, গ্রেফতার দমদম বিমানবন্দরের কর্মী
বিমানবন্দর দিয়ে মাল পাচারের বড়সড় চক্রের হদিশ পেল শুল্কবিভাগ। বৃহস্পতিবার এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে এয়ারপোর্টস অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার এক কর্মীকেও। চক্রের সঙ্গে যুক্ত বাকিদের সন্ধানে তদন্ত করছে শুল্ক বিভাগ।

বিমানবন্দর দিয়ে নতুন উপায়ে মাল পাচার শুরু হয়েছিল এক থেকে দেড় বছর আগে। শুল্কবিভাগ জানতে পারে মাস দুয়েক আগে। তখন থেকেই শুরু হয় তদন্ত। দুমাসের চেষ্টায় গ্রেফতার করা হয়েছে এয়ারপোর্টের কর্মী শঙ্কর নারায়ণ মুখোপাধ্যায়কে। অসুস্থ স্ত্রীকে নিয়ে বাড়ি ফেরার পরেই বৃহস্পতিবার দমদম নাগের বাজার থেকে তাঁকে গ্রেফতার করেন শুল্ক বিভাগের আধিকারিকরা।
শঙ্কর নারায়ণ মুখোপাধ্যায় এয়ারপোর্টের ডেটা এন্ট্রি অপারেটর বিভাগের কর্মী। একইসঙ্গে কর্মী ইউনিয়নেরও সেক্রেটারিও। ফলে কর্মীদের মধ্যে প্রভাব একটা ছিলই। একসঙ্গে নিজের 'হাতযশ'। দুয়ের মিলিত ফলে দেশের রাজস্ব বিভাগের ক্ষতি কোটি কোটি টাকার। এখনও পর্যন্ত প্রায় একশো কোটি টাকার শুল্ক ফাঁকির অভিযোগ উঠছে।
কী ভাবে মাল পাচার করা হত, তারও তথ্য দিয়েছেন শুল্ক আধিকারিকরা। ডেটা এন্ট্রি অপারেটর হিসেবে সব মালের হিসেব রাখার কথা। কিন্তু বাইরে থেকে আসা অনেক মালেরই কোনও তথ্য থাকত না। কেননা সিসিটিভির নজরদারি এড়িয়ে কম্পিউটার থেকে তথ্য মুছে দেওয়ার কারসাজিতে শঙ্কর নারায়ণ মুখোপাধ্যায় হাত পাকিয়েছিলেন বলে অভিযোগ শুল্ক বিভাগের।
এমন কী বৃহস্পতিবার তাঁকে গ্রেফতার করার পর প্রায় সাড়ে ছকোটি টাকার বৈদ্যুতিন পণ্য উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি শুল্ক বিভাগের। সেই সব জিনিসপত্রের মধ্যে আইইডি তৈরি মতো বস্তুও ছিল বলে অনুমান শুল্ক বিভাগের। তাই উদ্ধার হওয়া জিনিসপত্রের মধ্যে সন্দেহজনক জিনিসগুলির ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
উদ্ধার হওয়া জিনিসপত্রের বেশিরভাগ দুবাই-শারজা থেকে আসায় দেশের অন্য নিরাপত্তা সংস্থাগুলির সাহায্য নিচ্ছে শুল্ক দফতরের গোয়েন্দারা। চক্রে দমদম বিমানবন্দর কিংবা দেশের অন্য কোনও কোনও বিমানবন্দরের অন্য কেউ জড়িত কিনা তাও খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা।