বউবাজারে ফের একাধিক বাড়িতে ফাটল, রাস্তায় নামলেন আতঙ্কিত বাসিন্দারা
ভোর রাতে বউ বাজারে ফের ফিরল আতঙ্ক! একাধিক বাড়িতে ফের ফাটল। পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয় বৃষ্টি শুরু হলে। ক্রমশ চওড়া হতে শুরু করে ফাটল। মেট্রোর কাজের জন্যে গত কয়েকমাস আগেই এমন ফাটল দেখা যায় দুর্গা পিতুরি লেনে। এই ঘটনায় তীব্র আত
ভোর রাতে বউ বাজারে ফের ফিরল আতঙ্ক! একাধিক বাড়িতে ফের ফাটল। পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয় বৃষ্টি শুরু হলে। ক্রমশ চওড়া হতে শুরু করে ফাটল। মেট্রোর কাজের জন্যে গত কয়েকমাস আগেই এমন ফাটল দেখা যায় দুর্গা পিতুরি লেনে। এই ঘটনায় তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে ফের একবার একই ঘটনা।
কিন্তু এবার ঘটনাস্থল পাশে গলি মদন দত্ত লেনে। বাড়ির পাশাপাশি রাস্তাতেই ফাটল দেখা গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। পুরো এলাকা এই মুহূর্তে ঘিরে রেখেছে বিশাল পুলিশবাহিনী।
আতঙ্কে বাড়ি ছাড়তে শুরু করেন এলাকার মানুষ।
ভোর রাতে এই ঘটনা সামনে আসার পরেই আতঙ্কে বাড়ি ছাড়তে শুরু করেন এলাকার মানুষ। দেখতে পান একের পর এক ঘরে চওড়া হচ্ছে ফাটল। আর তা দেখার পরেই যে যা পেড়েছেন তা নিয়ে বেরিয়ে আসেন। তবে কোথায় যাবেন তা এখনও স্পষ্ট নয়। ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। নামানো হয়েছে পুলিশের বিপর্যয় বাহিনীকেও। নিরাপদে বাড়ি থেকে আতঙ্কিত মানুষজনকে বের করে আনার কাজ শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই বাসিন্দারা ১০টি বাড়ি খালি করে দেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
বিক্ষোভে ফেটে পড়েন আতঙ্কিত মানুষ।
অন্যদিকে ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান মেট্রো আধিকারিকরা। কীভাবে এই ঘটনা তা নিয়ে শুরু হয়েছে পরীক্ষা। তবে ঘটনাস্থলে মেট্রো আধিকারিকরা গেলেই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন আতঙ্কিত মানুষ। আধিকারিকদের ঘিরে ধরে চলে বিক্ষোভ। তাঁদের দাবি, এলাকাতে ভয়ঙ্কর অবস্থা খারাপ। এ ব্যপারে সম্পূর্ণ উদাসীন মেট্রো। অন্যদিকে ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছন স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলার। তাঁর দাবি, মেট্রো কতৃপক্ষ এ বিষয়ে সম্পূর্ণ উদাসীন। এটা নিয়ে তৃতীয় বার একই ঘটনা ঘটল। ২০১৯ সাল, ১১ মে এবং আজ হল। মানুষগুলো কোথায় যাবে? প্রশ্ন কাউন্সিকার বিশ্বরূপ দে'র।
চরম ক্ষুব্ধ এলাকার মানুষ।
বলে রাখা প্রয়োজন, ঠিক তিন বছর আগে অর্থাৎ ২০১৯ সালের ৩১ অগাস্টমাসে হঠাত করেই বউবাজারের দুর্গাপিতুরি লেন, স্যাঁকরাপাড়া লেনের এলাধিক জায়গা জুড়ে ভয়ঙ্কর বিপর্যয় ঘটে যায়। একের পর এক বাড়িতে ফাটল সামনে আসে। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয়ে যায় একাধিক বাড়ি ভেঙে ফেলতে হয়। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই গত কয়েক মাস আগে অর্থাৎ ১১ মে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে। একেবারে জিনিসপত্র নিয়ে খোলা আকাশের নিচে রাত কাটান সাধারণ মানুষ। যদিও মাসখানেক হয়েছে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া গেলেও ফের একই ঘটনা। বারবার একই ঘটনায় চরম ক্ষুব্ধ এলাকার মানুষ। যদিও এখনও মেট্রোর তরফে কিওছু বলা হয়নি।
মস্কো থেকে দিল্লি আসা বিমানে বোমাতঙ্ক, দিল্লি বিমানবন্দর জুড়ে High Alert