মদন দত্ত লেনই নয়, ফাটল ধরল বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিটেও! কিন্তু কেন এমন অবস্থা?
শুধু মদন দত্ত লেনই নয়, ফাটল বাড়ছে আশেপাশের এলাকাগুলিতেও। যেমন বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিটের বেশ কয়েকটি জায়গাতে নতুন করে ফাটল সামনে এসেছে। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক আতঙ্ক বই বাজার জুড়ে। একেবারে ভোরা রাতে রাস্তায় নেমেছেন ব
শুধু মদন দত্ত লেনই নয়, ফাটল বাড়ছে আশেপাশের এলাকাগুলিতেও। যেমন বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিটের বেশ কয়েকটি জায়গাতে নতুন করে ফাটল সামনে এসেছে। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক আতঙ্ক বই বাজার জুড়ে। একেবারে ভোরা রাতে রাস্তায় নেমেছেন বহু মানুষ। যে যেমন পেরেছেন জিনিস-পত্র নিয়ে বেরিয়ে পরেছেন।
কিন্তু কোথায় যাবেন না জানেন? এভাবে যে মুহূর্তে ছাদটা চলে যাবে তা বোধহয় কল্পনাতেও ভাবতে পারেননি দন দত্ত লেন কিংবা বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিটের মানুষেরা।
১৫ দিনের মধ্যে ক্ষতিপূরণ দেবে মেট্রো।
ভোর রাতে বউবাজারের মদন দত্ত লেনে একের পর এক এক বাড়িতে ফাটল দেখতে পাওয়া যায়। কোনও বাড়িতে মাঝ বরাবর বিপজ্জনক ভাবে রয়েছে ফাটল আবার কোথাও মেঝে ফেটে গিয়েছে। আর তা চোখে পড়তেই ভয়ঙ্কর অবস্থা। হুড়োহুড়ি করে বেরিয়ে পড়েন মানুষ। ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছন মেট্রো আধিকারিকরা। আর এর মধ্যেই বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিটের বেশ কয়েকটি জায়গাতে নতুন করে ফাটল সামনে আসে। জানা যাচ্ছে, ১৫ দিনের মধ্যে ক্ষতিপূরণ দেবে মেট্রো। এছাড়াও বাসিন্দাদের একটি হোটেলে মেট্রো নিয়ে গিয়ে রাখছে বলেও খবর।
২০১৯ সালে প্রথম এই ঘটনা সামনে আসে
কিন্ত্য বারবার কেন ফাটল? তা নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ২০১৯ সালে প্রথম এই ঘটনা সামনে আসে। আর এরপর গত কয়েক মাস আগে একই ভাবে বেশ কয়েকটি বাড়িতে ফাটল ধরে। এরপর ফের আজ। কিন্তু কেন এমন অবস্থা? মেট্রো সূত্রে জানা যাচ্ছে, দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল মেট্রোর কাজ। শুক্রবার থেকে ফের মেট্রোর কাজ শুরু হয়। কাজ শুরু হতেই ফের গণ্ডগোল। জয়েন্ট বক্স বসানো হচ্ছে। ২৯ মিটার পাকা একটি স্ল্যাব তৈরির কাজ চলছিল। বাকি কাজ করতে চলছিল কাজ। আর সেই সময়ে হঠাত করে জল বের হতে শুরু করে। আর তাতেই বিপত্তি বলে জানাচ্ছে মেট্রো। শুধু তাই নয়, মাটির নীচের মাটিকে শক্ত করার চেষ্টা চলছিল। সব মিলিয়ে এই কাণ্ড বলে মনে করা হচ্ছে। তবে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন মেট্রো ইঞ্জিনিয়াররা।
নকশা পাল্টেছিলেন বলে দাবি বিজেপি নেতার
অন্যদিকে গোটা এলাকার বাড়ি ভেঙে দেওয়ার কথা বলছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলছেন, এভাবে হবে না। রিস্ক থেকে যাচ্ছে। ফলে গোটা এলাকার বাড়িগুলিকে ভেঙে প্রথমে কাজ করে নেওয়া হোক। এরপর স্কোয়ার ফুট মেনে বাড়িগুলি মেট্রো তৈরি করে দিতেই পারে। তবে এই বিষয়ে আলোচনা প্রয়োজন বলে মনে করছেন ফিরহাদ হাকিম। অন্যদিকে এই ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। দিলীপ ঘোষের দাবি, এই ঘটনার জন্যে দায়ী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনিই নাকি জোরে নকশা পাল্টেছিলেন বলে দাবি বিজেপি নেতার।
নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে ফের মামলা! আইনি জটিলতায় থমকে যাবে না তো প্রক্রিয়া?