'কেষ্টা-ব্যাটা যে পুরাতন ভৃত্য! ছাড়িলে না ছাড়ে কী করিব তারে, মহাফাঁপরে দিদি’
‘কেষ্টা’-ব্যাটাকে নিয়ে এখন মহাফাঁপরে পড়েছেন দিদি। পুরাতন ভৃত্যের মায়া কিছুতেই ছাড়তে পারছেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা। তার উপর যা কিছু হারায় গিন্নি বলেন কেষ্টা ব্যাটাই চোর!
'ছাড়িলে না ছাড়ে কী করিব তারে মোর পুরাতন ভৃত্য।' 'কেষ্টা'-ব্যাটাকে নিয়ে এমনই ফাঁপরে পড়েছেন দিদি। পুরাতন ভৃত্যের মায়া কিছুতেই ছাড়তে পারছেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা। তার উপর যা কিছু হারায় গিন্নি বলেন কেষ্টা ব্যাটাই চোর! লং-মার্চের পর বীরভূমের সিউড়িতে জনসভা করে অনুব্রত মণ্ডলকে রবীন্দ্রনাথের ভাষাতেই কটাক্ষ করলেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র।
সুর্যবাবু বলেন, বালি হোক বা পাথর, যে সমস্ত জিনিস লুঠ হচ্ছে, আঙুল উঠছে কেষ্টা ব্যাটার দিকেই। কিন্তু পুরাতন ভৃত্য বলেই দিদি তাঁর মায়া ছাড়তে পারছেন না। এরপরই তিনি বলেন, যাঁরা তৃণমূল করেন এখন থেকে সাবধান হন। কেননা তৃণমূল সরকারে আপনাদের নিরাপত্তা দিতে পারবে না।
তিনি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় জানান, সাধারণ কর্মীদের নিরাপত্তা দিতে পারে একমাত্র লালঝান্ডা। তিনি ঘুরিয়ে তৃণমূলকর্মীদের আহ্বান জানান সিপিএমে। তিনি বলেন, একমাত্র এই লাল ঝান্ডাই রোদে পুড়ে ঘাম ঝরিয়ে জলে ভিজে বুক চিতিয়ে রাস্তায় থেকে লড়াই করতে পারে। আর বীরভূমের লাল মাটিতে দাঁড়িয়ে চ্যালেঞ্জ দিয়ে যান অনুব্রতকে।
তবে
একটিবারও
অনুব্রত
মণ্ডলের
নাম
নেননি
সুর্যকান্ত
মিশ্র।
রবীন্দ্রনাথের
প্রাণের
স্পন্দন
যে
জেলায়
পড়েছিল,
সেই
জেলায়
দাঁড়িয়ে
তিনি
রবীন্দ্রনাথের
ভাষাতেই
অনুব্রত
মণ্ডলকে
নিশানা
করেন।
তাঁকে
অভিহিত
করেন
পুরাতন
ভৃত্য
আখ্যায়।
যা
কিছু
হারায়
গিন্নি
বলেন
কেষ্টা
ব্যাটাই
চোর।
এ
কথা
তো
আমার
নয়,
রবীন্দ্রনাথের।
সেই
অবস্থা
হয়েছে
আমাদের
মুখ্যমন্ত্রীর।
বেঙ্গল
প্লাটফর্ম
অফ
মাস
অর্গানাইজেশনের
উদ্যোগে
লং
মার্চ
সিউড়ি
জেলা
মাঠে
প্রবেশ
করার
পর
সেখানে
আয়োজিত
হয়
জনসভা।
সেই
জনসভায়
সূর্যকান্ত
নাম
না
করেই
অনুব্রতকে
আক্রমণ
করেন।
তিনি
বলেন,
এই
জেলায়
এমন
একজন
আছেন,
যিনি
বলেন-
উন্নয়ন
রাস্তায়
দাঁড়িয়ে
রয়েছে।
আমিও
রাস্তায়
উন্নয়ন
দেখতে
দেখতেই
আসছি।
রেলও
ও
বাস
দেখছি।
দেখছি
পরিবহণের
হাল।
তিনি বলেন, প্রতিদিন লুঠতরাজ চলছে, খুনোখুনি হচ্ছে, আমাদের উপর আক্রমণ হচ্ছে। আমাদের কত কমরেড শহিদ হয়েছেন। তারপর মিথ্যা মামলা হচ্ছে আমাদেরই বিরুদ্ধে। এ সবকিছু জবাব তো দিতেই হবে। পুরাতন ভৃত্যের মায়া ছাড়তে না পারলে এর জবাব দিতেই হবে।
[আরও পড়ুন: মেডিক্যালে বিধ্বংসী আগুন! চলছে উদ্ধার কাজ, আগুন নেভানোর চেষ্টায় দমকল, দেখুন ভিডিও]
এদিন তিনি কেন্দ্রীয় সরকারকেও নিশানা করেন। নিশানা করেন নরেন্দ্র মোদীকে। তিনি বলেন, কাদের উন্নয় হচ্ছে? একবার ভেবে দেখুন, প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, কালো টাকা বাইরে থেকে নিয়ে আসব। আনতে পারেননি। ১৫ লাখ টাকা করে প্রত্যেকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে দেব। দিতে পারেননি। কিন্তু কী দেখা যাচ্ছে? দেশের টাকা বাইরে চলে যাচ্ছে। বিদেশি ব্যাঙ্কে জমা পড়ছে। আর আমাদের কেন্দ্রীয় সরকার তার নাগালও পাচ্ছে না।
[আরও পড়ুন:Medical Fire Live- ক্যালকাটা মেডিক্যাল কলেজের আগুন নিয়ন্ত্রণে, এবার ধোঁয়ার সঙ্গে লড়াই ]