বিজেপির ‘ভোট-কৌশল’ শিখতে চায় সিপিএম! ‘বেঙ্গল লাইনে’ নয়া বার্তা সুর্যকান্তর
লেনিন মূর্তি ভেঙে চলো পাল্টাইয়ের বার্তাকে সত্যি প্রমাণিত করতে উঠে পড়ে লেগেছে বিজেপি। আর সেই বিজেপির কাছ থেকে শিক্ষা নিয়েই ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে সিপিএম।
পালাবাদলের পর বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে ত্রিপুরাকে তছনছ করে দেওয়ার। লেনিন মূর্তি ভেঙে চলো পাল্টাইয়ের বার্তাকে সত্যি প্রমাণিত করতে উঠে পড়ে লেগেছে বিজেপি। আর সেই বিজেপির কাছ থেকে শিক্ষা নিয়েই ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে সিপিএম। সিপিএম এখন বিজেপির প্রয়োগ করা ভোট কৌশল শিখতে চাইছে।
[আরও পড়ুন: বিজেপির চরিত্র নিয়ে খোঁটা, রাজ্যপালের টুইটে বিপজ্জনক সংকেত পাচ্ছেন ইয়েচুরি ]
এ রাজ্যে সিপিএম এক বৃত্তের মধ্যে সমস্ত বাম মনোভাবাপন্ন দলকে ধরে রেখে ৩৪ বছর ক্ষমতার অলিন্দে বিরাজ করেছে। সম্প্রতি সাত বছর তারা ক্ষমতা থেকে বিচ্যুত। আর ত্রিপুরায় তারা ক্ষমতায় খুইয়েছে সবেমাত্র। টিমটিম করে জ্বলছে শুধুমাত্র কেরালায়। এই মুহূর্তে কেরল সিপিএমের সত্যিই কোনও 'শাখা' নেই।
এই অস্তিত্বহীনতার সম্মুখীন হয়ে রাজ্য সম্মেলন থেকে সিপিএম ফিরে আসার দাওয়াই খোঁজার চেষ্টা চালাচ্ছে। আর সেই অনুসন্ধানে নেমে রাজ্য সিপিএমের সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন, 'বিজেপির ভোট কৌশল শিখতে হবে। কীভাবে ছোট দলগুলিকে এক জায়গায় নিয়ে এসে ভোট ভাগ রোখা যায়, সেখানেই লুকিয়ে রয়েছে নির্বাচনে জয়ের অঙ্ক।'
সূর্যকান্তবাবু বলেন, 'শত্রুর কাছ থেকে রণকৌশল শিখেই শত্রুকে হারাতে হবে। ত্রিপুরায় যে কৌশলে ভোট করেছে বিজেপি, আমাদেরও তা শিখতে হবে। সেই ভোট কৌশল শিখলেই বাজিমাত করা যাবে প্রতিপক্ষকে।' তিনি বলেন, 'ত্রিপুরায় সহযোগী দলগুলিকে এক জায়গায় করতে পেরেই সফল হয়েছে বিজেপি। যেটা অন্য কেউ পারেনি। বিজেপির ভোট তাই ভাগ হয়নি। সুফল পেয়েছে ওরা।' এদিকে সূর্যকান্তবাবুর সঙ্গে সহমত পোষণ করে বিজেপি বিরোধিতায় আর কোনও ছুৎমার্গ রাখা হবে না বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ফের বেঙ্গল লাইনের বার্তা উঠে এল সিপিএমের সম্মেলনে।
[আরও পড়ুন: 'পরিবর্তনের 'বিপদ' ধেয়ে আসছে ত্রিপুরায়'! 'উগ্রপন্থী' তকমায় বিজেপিকে খোঁচা ফিরহাদের]