লোকসভায় কোন আসনে কে হচ্ছেন প্রার্থী, ভোট নির্ঘণ্টের আগেই তালিকা সিপিএমের
কংগ্রেসের সঙ্গে জোটে রাজ্য কমিটির প্রস্তাবকে সিলমোহর দিয়েছে সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটি। সিলমোহর দিয়েছে স্থির করা প্রার্থী তালিকাকেও।
কংগ্রেসের সঙ্গে জোটে রাজ্য কমিটির প্রস্তাবকে সিলমোহর দিয়েছে সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটি। সিলমোহর দিয়েছে স্থির করা প্রার্থী তালিকাকেও। ইতিমধ্যেই জোট-শর্ত মেনে প্রার্থী তালিকাও চূড়ান্ত করে ফেলেছে সিপিএম। কারা প্রার্থী হচ্ছেন এবার, তা লোকসভা নির্বাচন ঘোষণার আগেউই প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলেছেন সূর্যকান্ত মিশ্র-বিমান বসুরা।
জোট-ফর্মুলা
নয়া সমীকরণ অনুযায়ী কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতায় আসন্ন লোকসভায় ২০টি আসনে সিপিএম প্রার্থী দেওয়ার ব্যাপারে মনস্থ করেছে। তিনটি করে আসনে প্রার্থী দেবে তিন বড় শরিক। আর কংগ্রেসকে ছাড়া হচ্ছে ১৩টি আসন। এই অবস্থায় সিপিএম যাঁদের প্রার্থী করতে চলেছে, তাঁদের নামেও সিলমোহর দিয়েছেন কেন্দ্রীয় কমিটি।
যাদবপুর
যাদবপুরে প্রার্থী করা হতে পারে বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যকে। বিকাশবাবু কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন মেয়র। এখন আইনজীবী হিসেবে তিনি বামেদের লড়াইয়ের প্রধান মুখ।
দমদম
দমদম থেকে উঠে আসছে দুটি নাম। একটি নাম নেপালদেব ভট্টাচার্যের। আর অপর নামটি তন্ময় ভট্টাচার্যের। তন্ময়বাবু সিপিএমের টিকিটে বর্তমানে রাজ্য বিধানসভার সদস্য।
ব্যারাকপুর
ব্যারাকপুর আসনে রয়েছে গার্গী চট্টোপাধ্যায়ের নাম। গার্গীদেবী এর আগেও একাধিকবার প্রার্থী হয়েছেন। গতবছরই তিনি নোয়াপাড়া বিধানসভার উপনির্বাচনে সিপিএম প্রার্থী হন।
উত্তর কলকাতা
উত্তর কলকাতা থেকে প্রার্থীপদে এগিয়ে রয়েছে ফুয়াদ হালিম। তবে কথা চলছে রূপা বাগচিকে নিয়ে। উল্লেখ্য, রূপা বাগচি দীর্ঘদিন কলকাতা পুরসভার বিরোধী দলনেত্রী ছিলেন।
ঝাড়গ্রাম
ঝাড়গ্রাম আসনে সিপিএমের টিকিটের মূল দাবিদার হয়ে উঠেছেন দেবলীনা হেমব্রম। দেবলীনা সম্প্রতি ব্রিগেড সভা মাতিয়ে দিয়েছিলেন তাঁর জ্বালাময়ী ভাষণে। তারপর এটা তাঁর পুরস্কার।
বাঁকুড়া
বাঁকুড়া থেকে প্রার্থী করা হতে পারে অমিত পাত্রকে। তিনি জেলায় দীর্ঘদিন সিপিএমকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাঁর নেতৃত্বের উপর ভরসা রেখে সিপিএম এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
বর্ধমান
বর্ধমান থেকেও দুজনের নাম উঠছে বেশি করে। অমল হালদার বা আভাস রায়চৌধুরী- দুজনের মধ্যে কাউকে প্রার্থী করা হতে পারে। তা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের অপেক্ষা।
তালিকায় সিলমোহর
এদিন এইসমস্ত নাম নিয়েই আলোচনা হয় কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে। রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র তালিকা নিয়ে আলোচনা করেন। এদিন সেই তালিকায় সিলমোহর দিয়েছে রাজ্য।