বাজপেয়ী ছিলেন কুশল ও সংবেদনশীল সাংসদ ! প্রতিক্রিয়া সিপিএম নেতা হান্নান মোল্লার
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী ছিলেন কুশল ও সংবেদনশীল। দীর্ঘদিন সংসদীয় রাজনীতিতে থাকা সিপিএম পলিটব্যুরো সদস্য হান্নান মোল্লা এমনটাই মন্তব্য করেছেন।
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী ছিলেন কুশল ও সংবেদনশীল। দীর্ঘদিন সংসদীয় রাজনীতিতে থাকা সিপিএম পলিটব্যুরো সদস্য হান্নান মোল্লা এমনটাই মন্তব্য করেছেন। আজকের বিজেপির থেকে বাজপেয়ীর অনেক তফাত ছিল বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। দেশের স্বার্থে তাঁর বক্তব্য আকৃষ্ট করেছে সবাইকে। মন্তব্য করেছেন হান্নান মোল্লা।
সাংসদ হিসেবে সংসদের গরিমা, রীতিনীতি ও মর্যাদা রক্ষায় সচেষ্ট ছিলেন অটল বিহারী বাজপেয়ী। এমনটাই মন্তব্য করেছেন সিপিএম পলিটব্যুরো সদস্য হান্নান মোল্লা। আজকের নিরিখে যা আকাশ-পাতাল তফাত। একের পর এক গণপ্রহারের ঘটনা ঘটলেও আজকের প্রধানমন্ত্রীর কোনও সাড়া পাওয়া যায় না। শীর্ষ নেতৃত্বেরও যেন কোনও বক্তব্য নেই। এসব ব্যাপারে বাজপেয়ী অনেক সংযত ছিলেন।
বাজপেয়ীর প্রধানমন্ত্রিত্বের সময়েই ঘটেছিল গুজরাত গণহত্যার ঘটনা। সেবিষয়ে বিশেষ কোনও ব্যবস্থা নিতে না পারলেও, তৎকালীন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী অর্থাৎ আজকের প্রধানমন্ত্রীকে রাজধর্ম পালন করতে বলেছিলেন বাজপেয়ী।
বাজপেয়ী ছিলেন শালীনতা, মর্যাদা বোধ আর দায়িত্ববোধ সম্পন্ন। শালীনতার বাইরে তিনি যেতেন না। আজকের দিনে যা পাওয়া দুর্লভ। মন্তব্য করেছেন হান্নান মোল্লা। তিনি যেমন ভাল বক্তা ছিলেন, ঠিক তেমনই বক্তব্যে কুশলতাও ছিল। জানিয়েছেন হান্নান মোল্লা। সর্বশ্রেষ্ঠ সাংসদের মর্যাদাও পেয়েছিলেন তিনি।
তবে সেই অটল বিহারী বাজপেয়ীকে হিন্দুত্বের প্রতিনিধি হিসেবে বক্তব্য রাখতেও দেখা গিয়েছে। তখন তাকে একটু আলাদা মনে হয়েছে। ১৯৯২-এ বাবরি মসজিদ ধ্বংসের ঘটনা যখন সংসদে দাঁড়িয়ে সমর্থন করেন তখনও তাঁকে আলাদা লেগেছে।
আজকের বিজেপি নেতৃত্ব কিংবা প্রধানমন্ত্রী নির্ভেজাল সাম্প্রদায়িক। এর মধ্যে কোনও দ্বন্দ্ব নেই। সংসদীয় ব্যবস্থাকে ধ্বংস করার চেষ্টা করা হচ্ছে। মন্তব্য করেছেন হান্নান মোল্লা।