রাজ্যসভায় প্রার্থী নিয়ে কংগ্রেসে লড়াই তুঙ্গে, তালিকার প্রথম নামটি শুনলেই চমকে যাবেন
কংগ্রেস সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্যের সংসদ পদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে এবার। রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচন শেষ হলেই রাজ্যসভার ফাঁকা আসনগুলিতে ভোট হবে। সেই প্রার্থীপদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা চরমে।
রাজ্যসভায় পশ্চিমবঙ্গ থেকে কে হবেন কংগ্রেসের প্রার্থী? তা নিয়েই তৈরি হয়েছে চরম ধোঁয়াশা। আদৌ কি রাজ্যসভায় সংসদ পদে কংগ্রেস প্রার্থী দেবে, নাকি সিপিএমকে এই পদটি ছেড়ে দেওয়া হবে, তা নিয়েও রয়েছে সংশয়। বিশেষ করে কংগ্রেসের প্রার্থী 'তালিকা'য় সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির নাম থাকায়, জল্পনা বেড়ে গিয়েছে বহুগুণ।
কংগ্রেস সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্যের সংসদ পদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে এবার। রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচন শেষ হলেই রাজ্যসভার ফাঁকা আসনগুলিতে ভোট হবে। সেই ভোট উপলক্ষে রাজনৈতিক দলগুলি প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামতে চলেছে। এরই মধ্যে সীতারাম ইয়েচুরিকে ফের রাজ্যসভার সাংসদ হিসেবে চেয়ে সওয়াল করেছে কংগ্রেস। এমনকী এমনও বার্তা দেওয়া হয়েছে যে, সীতারাম ইয়েচুরি প্রার্থী হলে তাঁকে প্রত্যক্ষ সমর্থন করবে কংগ্রেস।
এবার শুধু সমর্থন বার্তাই নয়, প্রদেশ কংগ্রেসের দেওয়া তালিকায় রাখা হল তাঁর নামও। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী রাজ্যসভার পদে প্রার্থী হওয়ার জন্য তিনজনের নাম প্রস্তাব করেছেন হাইকম্যান্ডের কাছে। তার প্রথম নামটিই সীতারাম ইয়েচুরির। দ্বিতীয় নামটি হল প্রদীপ ভট্টাচার্যের। তৃতীয় জন হলেন দীপা দাশমুন্সি।
বর্তমান পরিস্থিতি যা, তাতে সীতারাম ইয়েচুরি প্রার্থী না হলে প্রদীপ ভট্টাচার্য বনাম দীপা দাশমুন্সি মধ্যে লড়াই হতে পারে সাংসদ পদে প্রার্থী হওয়ার জন্য। তবে এ ক্ষেত্রে চূড়ান্ত অনুমোদন দেবে হাইকম্যান্ড। কংগ্রেস পরিষদীয় দলের পক্ষ থেকে পৃথক কোনও নাম পাঠানো হচ্ছে না। তাঁরা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির প্রস্তাবকেই সমর্থন করছে। অর্থাৎ প্রদীপবাবু হন বা দীপা দাশমুন্সি, তাঁদের তরফে কোনও মতানৈক্য নেই।
উল্লেখ্য, কংগ্রেস সহ সভাপতি রাহুল গান্ধীও রাজ্যসভায় সাংসদ হিসেবে সীতারাম ইয়েচুরির হয়ে সওয়াল করেছিলেন। কিন্তু বাধ সেধেছিল সিপিএমের এক পদ এক প্রার্থীর নিয়ম। ফলে নিয়মের জাঁতাকলেই আটকে রয়েছে রাজ্যসভায় সীতারাম ইয়েচুরির ভাগ্য। ইয়েচুরি এখন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক। ফলে দলের নিয়ম মানলে তিনি রাজ্যসভার সাংসদ হতে পারেন না।
এই নিয়মে সীতারাম ইয়েচুরির নাম যদি কেটে যায়, তবে প্রদীপ ভট্টাচার্য বা দীপা দাশমুন্সির মধ্যে একজন হবেন কংগ্রেসের সাংসদ পদপ্রার্থী। প্রদীপবাবু ঘনিষ্ঠমহলে জানিয়েছেন, দল যদি তাঁকে অনুমোদন দেয়, তবে ফের সাংসদ পদে লড়াই করতে আপত্তি নেই তাঁর। এ বিষয়ে অধীর চৌধুরী ও আবদুল মান্নানের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। তিনি মনে করেন দু'জনের কেউই তাঁর ব্যাপারে আপত্তি করবেন না।
কংগ্রেসের একটা অংশ মনে করছে দীপা দাশমুন্সিও যদি প্রার্থী হন রাজ্যসভায়, কেউই আপত্তি তুলবে না। সেই কারণেই দু'জনের নামই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি রেখেছেন তালিকায়। এবার হাইকম্যান্ডের অনুমোদনের অপেক্ষা।