ভোট বয়কটের ডাক সিপিএমের! পয়লা নম্বর বিপদ বিজেপিই, বোধোদয়ে কৌশল বদল
সিপিএম মনে করে, বিজেপি নামক বিপদকে বাংলা থেকে বিতাড়িত করতে সবার আগে তৃণমূলকে ক্ষমতা থেকে সরাতে হবে। তাই তৃণমূলকেই পয়লা নম্বর শত্রু হিসেবেই দেখছিল সিপিএম।
সিপিএম মনে করে, বিজেপি নামক বিপদকে বাংলা থেকে বিতাড়িত করতে সবার আগে তৃণমূলকে ক্ষমতা থেকে সরাতে হবে। তাই তৃণমূলকেই পয়লা নম্বর শত্রু হিসেবেই দেখছিল সিপিএম। পঞ্চায়েত ভোটের প্রাক্কালে বোধোদয় হল সিপিএমের। সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মনে করছেন, বিজেপিই তাঁদের সামনে বড় বিপদ। তাই এবার কৌশল বদলে ভোট বয়কটের নিদান দিলেন তিনি।
[আরও পড়ুন:মুখোশধারীদের কুক্ষিগত নির্বাচন কমিশন! তৃণমূলকে সাপের সঙ্গে তুলনা দিলীপের ]
বুধবার সিপিএমের রাজ্য কমিটির বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপিকে কোনও ভোট নয়। প্রয়োজনে তাঁদের প্রার্থী না থাকলে ভোট বয়কট করা হবে, তবু তৃণমূল বা বিজেপিকে ভোট দেওয়া যাবে না। তৃণমূলকে ভোট দেওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই। কিন্তু বহু ক্ষেত্রেই যে তৃণমূল-বিরোধী জোট হয়েছে নিচুতলায়। সেখানে বিজেপিকে ভোট দেওয়ার ব্যাপারে নিচুতলার নেতাকর্মীরাই সহমত হয়েছেন। এই খবরেই সিঁদুরে মেঘ দেখছে সিপিএম।
বিশেষ করে নদিয়া ও উত্তর ২৪ পরগনা-সহ অন্যান্য জেলারও গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতি আসনে বিজেপি-সিপিএম-কংগ্রেস এক হয়েছে। প্রকাশ্যে এসেছে, বিজেপির সমর্থনে সিপিএম প্রার্থী ও সিপিএমের সমর্থনে বিজেপি প্রার্থীর প্রচার। তারপরই সিপিএমের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে প্রয়োজনে ভোট বয়কট করা হোক কিন্তু বিজেপিকে ভোট নয়।
এদিন আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বিজেপির সমর্থনে জয়ী প্রার্থীর সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক থাকবে না। তাঁকে বরখাস্ত করা হবে দল থেকে। এই আদর্শ মেনে চলতে বদ্ধপরিকর তাঁরা। ইতিমধ্যেই এই জোড়া সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হয়েছে জেলা কমিটিগুলোকে।
এদিন হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দেওয়া ই-মনোনয়নকে ঐতিহাসিক বলে ব্যাখ্যা করে রাজ্য ও নির্বাচন কমিশনকে এক যোগে আক্রমণ করেন সূর্যকান্ত মিশ্র। বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, ই-মনোনয়নের নির্দেশ যাতে পালন করতে না হয় সেজন্য উভয়ে মিলে রাস্তা খুঁজতে নেমেছে।
[আরও পড়ুন: ই-নোমিনেশনে বেকায়দায় পড়ে জোট বেঁধেছে রাজ্য-কমিশন, সুপ্রিম-খোঁচা সূর্যকান্তের]