চিটফান্ডের সভা থেকে ভাঙড়ের আন্দোলন সারা রাজ্যে ছড়ানোর ডাক দিল সিপিএম
ভাঙড় থেকেই সারা রাজ্যে ছড়াবে আন্দোলন। সেদিকে তাকিয়েই ঘুরে দাঁড়ানোর আশায় দিন গুণছেন সিপিএম নেতারা।
কলকাতা, ১৮ জানুয়ারি : ভাঙড় থেকেই সারা রাজ্যে ছড়াবে আন্দোলন। সেদিকে তাকিয়েই ঘুরে দাঁড়ানোর আশায় দিন গুণছেন সিপিএম নেতারা। সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি বুধবার সিজিও কমপ্লেক্সের সভা থেকে বলেন, আবার রাজ্য উত্তাল হয়েছে জমি আন্দোলনে। ভাঙড় থেকে যে আন্দোলনের সূচনা হয়েছে, সেই আন্দোলনকে ছড়িয়ে দিয়েই আবার ঘুরে দাঁড়াবে বামেরা
এদিন তৃণমূল ও বিজেপিকে এক যোগে তোপ দাগেন সীতারাম ইয়েচুরি। তিনি বলেন, কেন্দ্রে স্টান্টবাজির সরকার চালাচ্ছে বিজেপি। নিজের মর্জিমাফিক নোট বাতিল করেছেন মোদী। দেশকে রসাতলে পাঠানোর চেষ্টা করে চলেছেন। সেইসঙ্গে সাম্প্রদায়িক দ্বন্দ্ব লাগানোর চেষ্টা চলছে। সেইসঙ্গে রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। বলেন, তৃণমূল রাজ্যের পরিস্থিতি ভয়াবহ করে তুলেছে। এই পরিস্থিতি বদলাতে হবে। নতুন বাংলার খাতিরে এগিয়ে আসতে হবে তাঁদেরই।
সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন, এই আন্দোলন থেমে থাকবে না। দেশ বাঁচাতে মোদী সরকার আর রাজ্য বাঁচতে মমতার সরকার হটানোর আন্দোলন চলবে রাজ্যজুড়ে। পুলিশকে কী ভাবে মোকাবিলা করতে হয়, কীভাবে সন্ত্রাস মোকাবিলা করতে হয় দেখিয়ে দিয়েছে ভাঙড়ের মানুষ। সূর্যকান্ত এরপরই হুঁশিয়ারি দেন, মুখ্যমন্ত্রী তৈরি হন নবান্ন অভিযানের জন্য।
সিজিও কমপ্লেক্সের দলীয় সমাবেশে বিমান বসু দাবি করলেন, ভাঙড়ে কোনও দু'পক্ষ নেই। পুলিশের গুলিতেই খুন হয়েছেন দুই গ্রামবাসী। গৌতম দেব বলেন, বাংলা থেকে সরাতে হবে মমতাকে। এদিনের সভা ছিল মূলত চিটফাণ্ড কাণ্ডে তৃণমূলের মাথাদের গ্রেফতারের দাবিতে। সেইসঙ্গে নবান্ন অভিযানের আগে নিজেদের শক্তি যাচাই করে নিতেও চেয়েছিল সিপিএম।