দুর্নীতি ও অপরাধের সিন্ডিকেটে যুক্ত তৃণমূলকে বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা! মমতার 'আবিষ্কার' নিয়ে কটাক্ষ সিপিআইএম-এর
দুর্নীতি ও অপরাধের সিন্ডিকেটে যুক্ত তৃণমূলকে বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা! মমতার 'আবিষ্কার' নিয়ে কটাক্ষ সিপিআইএম-এর
পুজোর উদ্বোধনে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন, তিনি বদলার রাজনীতিতে বিশ্বাস করেন না বলেই সিপিএম-এর নেতারা বেঁচে গিয়েছেন। না হলে তাঁদের জেলে যেতে হত। একইসঙ্গে তিনি বিজেপিকেও আক্রমণ করেছেন। তবে সাম্প্রতিক সময়ে তাঁর মন্তব্যে আরএসএস এবং প্রধানমন্ত্রী মোদীর প্রতি তাঁর দুর্বলতা প্রকাশ হয়ে পড়েছে। এই বিষয়টি নিয়ে দলের মুখপত্র পিপলস ডেমোক্রেসির সংস্করণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ করেছে সিপিআইএম।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আবিষ্কার
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে বলা হয়েছে, তিনি সাম্প্রতিক সময়ে নতুন কিছু আবিষ্কার করেছেন। প্রথমে তিনি সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছেন, আরএসএস এতটা খারাপ নয়। তারপরে তিনি বলেছেন তিনি বিশ্বাস করেন না সিবিআই ও ইডির মতো সংস্থাগুলির অপব্যবহারের পিছনে নরেন্দ্র মোদী রয়েছেন। এব্যাপারে বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, এই সংস্থাগুলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনে নেই। এগুলি এখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হয়। সিপিএম-এর মুখপত্রে কটাক্ষ করে বলা হয়েছে, সিবিআই পিএমও-র অধীন কর্মী ও প্রশিক্ষণ বিভাগের অধীনে রয়েছে। এইভাবে তিনি (মমতা) প্রধানমন্ত্রীকে অব্যাহতি দিতে চেয়েছেন।
উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের সময় বিজেপিকে সাহায্য করার অভিযোগ
উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের সময় তৃণমূল বিজেপিকে সাহায্য করেছে বলেও অভিযোগ তোলা হয়েছে পিপলস ডেমোক্রেসিতে। বলা হয়েছে, বিরোধীরা উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধী প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে, তৃণমূল তা থেকে বিরত থাকে। সেখানে অজুগাত দেওয়া হয়, তাদের সঙ্গে সঠিকভাবে পরামর্শ করা হয়নি। পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল ধনখড় সেখানে বিজেপি প্রার্থী হওয়ার পরেও তৃণমূলের এই বিরত থাকা অত্যন্ত অস্বাভাবিক। যিনি কিনা নিজের ৩ বছরের কার্যকালের সময়ে সরকারকে প্রতি পদক্ষেপে নিশানা করে এসেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে বিরোধী প্রার্থীকে সমর্থন না করায় বিষ্ময় প্রকাশ করা হয়েছে সিপিআইএম-এর মুখপত্রে।
প্রবল চাপের মধ্যে রয়েছে তৃণমূল
প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের এসএসসির নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ার ঘটনা সামনে আসায় সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে বলেও মন্তব্য করা হয়েছে পিপলস ডেমোক্রেসিতে। কটাক্ষ করে বলা হয়েছে, তৃণমূলের আলমারি থেকে কঙ্কাল বেরিয়ে পড়েছে। এছাড়াও কয়লা কেলেঙ্কারিতে ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং পরিবারের অন্য সদস্যদের ইডির জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়টিতেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাপে রয়েছেন বলে মন্তব্য করা হয়েছে।
কেন আরএসএস এবং মোদীর প্রশংসা
এইসব
পরিস্থিতির
মধ্যেই
তৃণমূল
সুপ্রিমো
কখনও
আরএসএস
এবং
কখনও
প্রধানমন্ত্রী
মোদীর
প্রতি
নরম
মনোভাব
প্রকাশ
করেছেন।
যা
থেকে
পরিষ্কার
যে
তৃণমূল
নেত্রী
যে
কোনও
উপায়ে
দুর্নীতি
ও
অপরাধের
সিন্ডিকেটে
যুক্ত
হয়ে
পড়া
দলকে
বাঁচাতে
তৎপর
হয়ে
উঠেছেন।
তবে
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়
যেভাবে
সঙ্ঘ
এবং
বিজেপির
জোটের
প্রতি
নরম
মনোভাব
নিচ্ছেন,
তাতে
বিষ্মিত
হওয়ার
কিছু
নেই।
কেননা
বাজপেয়ী
প্রধানমন্ত্রী
থাকার
সময়ে
তিনি
বিজেপির
জোটে
ক্যাবিনেট
মন্ত্রী
ছিলেন।
পশ্চিমবঙ্গে
কমিউনিস্ট
বিরোধী
শক্তি
হিসেবে
তৃণমূলের
উত্থান
সেই
সময়েই।
পাশাপাশি
আরএসএস
আর
মোদীর
প্রতি
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়ের
মন্তব্য
তাঁকে
ফ্যাসিবাদ
বিরোধী
যোদ্ধা
হিসেবে
দেখা
বামপন্থীদের
বিব্রত
করবে
বলেও
কটাক্ষ
করা
হয়েছে।
দিলীপ-শুভেন্দুর ছবিতে মালা দিয়ে তর্পণ, প্রকাশ্যে মদন মিত্রের সমালোচনা বিধানসভার স্পিকারের