তৃণমূলকে চাপ দিচ্ছে, আবার বাঁচাচ্ছেও! তদন্তে ভয় কিসের, ED-CBI নিয়ে বিস্ফোরক সুজন
রাজ্যে ইডি-সিবিআই-এর অতি সক্রিয়তা নিয়ে বিধানসভায় সরকারি প্রস্তাব তৃণমূলের। রাজনৈতিক উদ্দেশে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের। এই প্রস্তাবের তীব্র বিরোধিতায় বিজেপি। দলের সর্বভারতীয় সহ
রাজ্যে ইডি-সিবিআই-এর অতি সক্রিয়তা নিয়ে বিধানসভায় সরকারি প্রস্তাব তৃণমূলের। রাজনৈতিক উদ্দেশে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের। এই প্রস্তাবের তীব্র বিরোধিতায় বিজেপি। দলের সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, তৃণমূলের দাদাগিরি শেষ হয়ে গিয়েছে। কে কখন জেরে ভিতরে যাবে তার ঠিক নেই। সেই কারণেই এই উদ্যোগ। অন্যদিকে সিপিএম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, ভয় কিসের, যেমন খুশি তদন্ত করুক। এমন কী তাঁদের (বামেদের) বিরুদ্ধে তদন্ত হোক।
বিধানসভায় তৃণমূলের প্রস্তাব
এদিন বিধানসভায় দ্বিতীয়ার্ধে ইডি-সিবিআই নিয়ে সরকারি প্রস্তাব আনে তৃণমূল কংগ্রেস। বিধানসভার ১৬৯ ধারায় সেখানে বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি নিরপেক্ষতা বজায় না রেখে শুধুমাত্র শাসকদলের বিধায়ক এবং নেতৃবৃন্দকে নিশানা করছে। তদন্ত প্রক্রিয়া চালানোর নামে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করেছে। পশ্চিমবঙ্গ-সহ বিভিন্ন বিরোধী দল শাসিত রাজ্যে এইভাবেই সরকার ভাঙার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে।
প্রস্তাবে কোনো অপরাধ নেই
এব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বাম নেতা তথা সিপিআইএম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, যদি রাজ্য সরকার মনে করে ইডি-সিবিআই অতি সক্রিয়, তাহলে তারা প্রস্তাব আনতেই পারে। এর মধ্যে তিনি অপরাধ কিছু দেখছেন না। কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলি যে রাজনৈতিক মনোভাব নিয়ে পরিচালিত, সেই অভিযোগের সঙ্গেও তিনি একমত বলে জানিয়েছেন। বিভিন্ন রাজ্যে যেমন কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে ব্যবহার করা হচ্ছে, এই রাজ্যের ক্ষেত্রেও আলাদা কিছু নয় বলেও মনে করছেন তিনি।
চাপও দেবো, আবার তৃণমূলকে বাঁচাবো
সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গে ভিন্নভাবে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে ব্যবহার করা হচ্ছে। এব্যাপারে উদাহরণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন. গত ৮ বছরে চিটফান্ড মামলার কোনও পরিণতি হয়নি। ছয় বছরে নারদ মামলারও কোনও ফল বেরিয়ে আসেনি। তিনি বলেছেন, চাপ দেবো আবার তৃণমূলকে বাঁচাবো, এমনই মনোভাব নিয়ে ইডি-সিবিআই চলছে এই রাজ্যে।
ভয় কিসের প্রশ্ন করেছেন সুজন
সুজন চক্রবর্তী আনিস কাণ্ডের তদন্ত প্রসঙ্গে বলেছেন, সিআইডি এব্যাপারে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি বলেছেন, একইসঙ্গে ইডি, সিবিআই, সিআইডি সক্রিয় হোক। সবাই মিলেই যাঁরা দুর্নীতি করেছে, তাদেরকে খুঁজে বের করুক। বলেছেন তিনি। সেখানে বিজেপি হোক কিংবা তৃণমূল, কিংবা তাদের (বামেদের) বিরুদ্ধে যদি কোনও অভিযোগ থেকে থাকে, তার তদন্ত হোক। বলেছেন সুজন চক্রবর্তী।
অন্যদিকে এই প্রস্তাব প্রসঙ্গে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, ১৬৯ ধারায় আনা প্রস্তাবে কিছুই হবে না। তবে তিনি বলেছেন, যদি বিধানসভায় বিরপোধী দলনেতাকে বলার সুযোগ দেওয়া হয়, তাহলে সভার নেতাও বলতে পারবেন।
সরকারি কিংবা বেসরকারি ক্ষেত্রে কতদিন হলে গ্র্যাচুইটি পাওয়া যায়, কী ভাবেই বা এর হিসেব করা হয়, একনজরে