রাজ্যে হবে কি বাম-কংগ্রেস জোট, ব্রিগেডের আগে রাহুলের বার্তা নিয়ে অসন্তোষ বামেদের
ব্রিগেডের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে লেখা চিঠিতে কার্যত অসন্তুষ্ট বামেরা। চিঠি প্রসঙ্গে সিপিএম-এর মত ব্যক্ত করেছেন রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র।
ব্রিগেডের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে লেখা চিঠিতে কার্যত অসন্তুষ্ট বামেরা। চিঠি প্রসঙ্গে সিপিএম-এর মত ব্যক্ত করেছেন রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। গণতন্ত্র, সামাজিক ন্যায়বিচার এবং ধর্মনিরপেক্ষতা, তিন শব্দকে সমর্থন করেও, সূর্যকান্ত মিশ্রের দাবি, রাজ্যে গণতন্ত্র বিপন্ন। বিষয়টি জানে রাজ্যের কংগ্রেস নেতৃত্বও। আগেকার বিভিন্ন ভোটে ভোট লুটের প্রসঙ্গ তুলে ধরেছেন তিনি।
প্রতিক্রিয়ার সূর্যকান্ত মিশ্র লিখেছেন, কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী এ-রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা বার্তায় লিখেছেন গণতন্ত্র, সামাজিক ন্যায়বিচার এবং ধর্মনিরপেক্ষতার ভিত্তিতেই প্রকৃত জাতীয়তাবাদ ও উন্নয়ন সম্ভব। তিনি ঠিকই বলেছেন। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে বামেদের অভিজ্ঞতা হল এই তিন প্রশ্নেই এই রাজ্যের শাসক দলের ভূমিকা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এ রাজ্যে তৃণমূল পঞ্চায়েত-পুরসভা থেকে লোকসভা পর্যন্ত প্রতিটি নির্বাচনে ভোট লুঠ করেই চলেছে। মানুষের ন্যূনতম গণতান্ত্রিক অধিকার এখানে বিপন্ন। বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে হাজার হাজার মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাঁদের ওপরে ধারাবাহিক আক্রমণ চলছে। এই আক্রমণের হাত থেকে কংগ্রেস কর্মীরাও বাদ যাননি। পুলিশকে শাসক দলের অনুগত বাহিনীকে পরিণত করা হচ্ছে। তৃণমূলের নেতারা ও দুর্বৃত্ত বাহিনী ভয়ের রাজত্ব কায়েম করেছে। পশ্চিমবঙ্গে দলিত, তফসিলি জাতি, আদিবাসী মানুষ ভয়ঙ্কর বিপর্যয়ের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। গ্রাম-শহরে কাজ নেই, মানুষ কাজের খোঁজে রাজ্যান্তরী হচ্ছেন। চা বাগান থেকে জঙ্গলমহলে অনাহার, অর্ধাহার, কাজের অভাবে হাহাকার।
এপ্রসঙ্গে বিজেপিকেও আক্রমণ করেছেন সূর্যকান্ত মিশ্র। বিজেপি ও তৃণমূল সাম্প্রদায়িকতার প্রশ্নে পরস্পরের পরিপূরক। প্রতিযোগিতামূলক সাম্প্রদায়িকতার বাতাবরণে পশ্চিমবঙ্গের সম্প্রীতি ও ঐক্যের সমৃদ্ধ ঐতিহ্যকেই দুই দল নষ্ট করছে। অভিজ্ঞতায় বামেরা মনে করি বিজেপি ও তৃণমূল উভয়ের বিরুদ্ধেই ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক শক্তির সমবেত হওয়া প্রয়োজন। দেশ ও রাজ্যকে বাঁচাতে তা প্রয়োজন। বামেরা লক্ষ্য রাখবে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা কী অবস্থান নেন, ভবিষ্যতে তা নিয়ে অভিমত দেবে বামেরা।