ভয় কাটাতে প্রথম কোভ্যাক্সিন নিলেন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা দেবাশিস ভট্টাচার্য
ভয় কাটাতে প্রথম কোভ্যাক্সিন নিলেন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা দেবাশিস ভট্টাচার্য
আরও এক স্বস্তির খবর। কলকাতায় শুরু হল কোভ্যাক্সিন দেওয়া। দ্বিতীয় দফায় করোনার বিরুদ্ধে ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ শুরু হল। মঙ্গলবার থেকেই জেলার বিভিন্ন জায়গায় এই ভ্যাকসিন পাঠানোর কাজ শুরু হয়। আজ বুধবার সকাল থেকে দ্বিতীয় দফায় কোভ্যাক্সিন দেওয়া শুরু হল। এদিন সকালে এসএসকেএম, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ এবং আরজিকর হাসপাতালে এই ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ শুরু হয়।
আজ এই ভ্যাকসিন প্রথম নেন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা দেবাশিষ ভট্টাচার্য। শুধু তিনিই নন, কোভ্যাক্সিন নিয়েছেন রাজ্যের স্বাস্থ্য মিশনের অন্যতম বড় কর্তা সৌমিত্র মোহন। নিয়েছেন জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের এএমডি স্মিতা সান্যাল শুক্লাও। এই ভ্যাক্সিন নিয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন উঠেছিল। তৈরি হয়েছিল বিতর্ক। সেই বিতর্ক কাটিয়েই এদিন এই ভ্যাক্সিন প্রথমে নিলেন সরকারের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।
কোভ্যাক্সিন নিয়ে তৈরি হয় একাধিক বিতর্ক
কোভ্যাক্সিন নিয়ে তৈরি হয় একাধিক বিতর্ক। এই অবস্থায় ভারতে টিকাকরণের প্রথম পর্যায়ে শুধুমাত্র কোভিশিল্ড ব্যবহার করা হবে বলে পরে জানানো হয়। শুধুমাত্র জরুরি পরিস্থিতিতে কোভ্যাক্সিন ব্যবহার করা হতে পারে। এমনকী সেক্ষেত্রে কারও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হলে মিলবে ক্ষতিপূরণও। এমনটাই জানানো হয়। যদিও তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল শুরুর মাসখানেকের মধ্যেই কীভাবে অনুমোদন দেওয়া হল ভারত বায়োটেকের করোনা টিকাকে? তাহলে কি সুরক্ষার সঙ্গে আপস করা হচ্ছে? কংগ্রেসের তরফে এমন একাধিক প্রশ্ন তোলা হয়। শুধু রাজনৈতিক দলগুলিই নয়, স্বাস্থ্য কর্মীরাও এই ভ্যাক্সিন নিয়ে প্রশ্ন তুলতে থাকে। ফলে বাংলাতেও এই ভ্যাক্সিন দেওয়া বন্ধ হয়।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেয় রাজ্য
একের পর এক বিতর্ক তৈরি হওয়াতে বাংলাতে কোভ্যাক্সিন দেওয়া বন্ধ হয়। জানানো হয়, বিশেষজ্ঞ কমিটির পরামর্শ নিয়েই ফের এই ভ্যাক্সিন দেওয়া হবে। সেই মতো রাজ্যের বিশেষজ্ঞ কমিটি বৈঠকে বসে। বৈঠকে স্বাস্থ্য দফতর সিদ্ধান্ত নেয়, ২ অথবা ৩ ফেব্রুয়ারি কলকাতার ৩টি হাসপাতাল এসএসকেএম, আরজিকর এবং স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনে এই ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ শুরু হবে। কিন্তু আতঙ্ক থেকে সেই ভ্যাক্সিন দেওয়ার কাজ শুরু করা যায়নি। তবে কলকাতার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালগুলির সিনিয়র ডাক্তার ও কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা দেবাশিস ভট্টাচার্য। দীর্ঘ আলোচনা করেন। তবে ভয় কাটাতে তিনি নিজে কোভ্যাক্সিন নেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেন।
বনসহায়কের নিয়োগ নিয়ে বিস্ফোরক! কোন নেতা, কোথা থেকে সুপারিশ, মমতাকে পাল্টা দিলেন রাজীব