আদালতে প্রভাবশালী তকমা! ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশের আগে বিস্ফোরক এসএমএইচ মির্জা
জেল হেফাজতের নির্দেশ সাসপেন্ডেড আইপিএস অফিসার এসএমএইচ মির্জার। ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এদিন তাঁকে ফের বিশেষ সিবিআই আদালতে পেশ করা হয়।
জেল হেফাজতের নির্দেশ সাসপেন্ডেড আইপিএস অফিসার এসএমএইচ মির্জার। ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এদিন তাঁকে ফের বিশেষ সিবিআই আদালতে পেশ করা হয়। এদিনই তার ৫ দিনের সিবিআই হেফাজত শেষ হয়েছে। মির্জার ১৪ দিনের জেল হেফাজত চায় সিবিআই। মির্জার আইনজীবী বিরোধিতা করলেও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে প্রভাবশালী তত্ত্ব খাঁড়া করা হয়। মির্জার আইনজীবীদের যুক্তি ছিল, যেহুতু তার মক্কেল তদন্তের স্বার্থে সব রকম সহযোগিতা করছেন, তাই তাকে জামিন দেওয়া হোক।
সিবিআই-এর তরফ থেকে এদিন সওয়ালে বলা হয়, এসএমএইচ মির্জার সঙ্গে হেভিওয়েট রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ আছে। ফলে জেল হেফাজত দাবি করা হয় সিবিআই-এর তরফে।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, বিচারক কেস ডায়েরি দেখতে চান। সিবিআই-এর কেস ডায়েরিতে উল্লেখ করেছে, কোথা থেকে টাকা লেনদেন হয়েছে। কাকে টাকা দেওয়া হয়েছে।
মির্জার আইনজীবী তখন বলেন, ২০১৪ সালের স্টিং অপারেশন। ২০১৯ সালে গ্রেফতার করা হচ্ছে। ২০১৭ সালের নভেম্বর পৃথক একটি মামলায় পর থেকে উনি সাসপেন্ড রয়েছেন। বলা হয়, এমন কোথাও কেউ প্রমাণ করতে পারবে না মির্জা প্রভাব খাটিয়েছেন। কাউকে ফোন করে কিছু বলেছেন। মির্জার আইনজীবী বলেন, উনি একজন আইপিএস অফিসার। কোথাও পালাবেন না।
[ প্রতিদিন অযোধ্যা মামলা শুনানির সময় নেই, জম্মু-কাশ্মীর মামলা নিয়ে কড়া সিদ্ধান্ত শীর্ষ আদালতের]
তিনি আরও বলেন, একজন সাসপেন্ডেড পুলিশ অফিসার কখনো প্রভাব খাটাতে পারে না। মির্জার আইনজীবীরা বলেন, পুরো বিষয়টা ম্যাথু করেছেন, ম্যাথু সবচেয়ে ভালো জানবে। ম্যাথুকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক। তাঁরা আরও বলেন, যাঁর কথায় ঘটনা ঘটেছে তিনি এখন বাইরে। তাঁর মক্কেলকে শুধু শুধু আটকে রাখা কেন। মুকুল রায় কে এই মামলার এক নম্বর অভিযুক্ত হিসেবে প্রমাণ করতে মরিয়া ছিলেন মির্জার আইনজীবী।
['এটা জেহাদ, ঈশ্বরকে খুশি করতে এটা আমরা করছি ' , কাশ্মীর নিয়ে ফের গর্জন ইমরানের ]
সাংবাদিকের মুখোমুখি হওয়ার পর এদিন মির্জা জানিয়েছেন, সাড়ে তিন বছর ধরে মনের মধ্যে যে জিনিসগুলো চেপে রেখেছিলেন, তা হালকা হয়েছে। মানুষ তাকে হয়তো ভুল ভেবেছিল। নিজে নিজেকে সার্টিফিকেট না দিলেও, তিনি কোন ধরনের মানুষ, তা পরিচিতরা জানেন বলে মন্তব্য করেছেন এসএমএইচ মির্জা। এদিন তিনি বলেন, হালকা ফিল করছি, সব সত্যি কথা বলেছি, সব ভিডিও রেকর্ডিং করা হয়েছে। আইন আইনের পথে চলছে, সত্যিকথা সাধারণ মানুষ পরে জানতে পারবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।