করোনা থাবায় মাটি হতে পারে দুর্গাপুজোর আনন্দ, আয়োজন ঘিরে বাড়ছে সংশয়
করোনা থাবায় এবার থমকে যেতে পারে বাঙালির প্রিয় দুর্গাপুজোর আনন্দও। গভীর চিন্তায় রয়েছেন শহরের বড় পুজোর উদ্যোক্তারা।
করোনা থাবায় এবার থমকে যেতে পারে বাঙালির প্রিয় দুর্গাপুজোর আনন্দও। গভীর চিন্তায় রয়েছেন শহরের বড় পুজোর উদ্যোক্তারা। শহরের অধিকাংশ বড় পুজো গুলিই পড়ে রেডজোনে। উত্তরের কাশীবোস লেন, নলিন সরকার স্ট্রিট থেকে দক্ষিণের রাসবিহারী, নাকতলা উদয়ন সর্বত্র করোনা ছায়া। আর এতেই পুজোর আয়োজন নিয়ে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন উদ্যোক্তারা।
দুর্গাপুজোয় কোপ
সারা বছর বাঙালি অপেক্ষা করে থাকে। কিন্তু এবার সেই পুজোর আনন্দ মাটি করতে চলেছে করোনা ভাইরাস। সেপ্টেম্বর মাসের আগে এর থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব বলে মনে করছেন না গবেষকরা। তার পরেও সংক্রমণ ফিরে আসার সম্ভাবনা রয়ে যাবে। এদিকে অক্টোবর মাসেই বাঙালির প্রিয় দুর্গাপুজো। পয়লা বৈশাখ থেকেই তার তোরজোর শুরু হয়ে যায়। ডেকোরেটার্স থেকে শিল্পীর বুকিংয়ের টাকা। স্পনরশিপ জোগার করা সবটাই শুরু হয়ে যায়। কিন্তু এবার কোনও কিছুই করে উঠতে পারেননি পুজো উদ্যোক্তারা।
স্পনসরশিপে ধাক্কা
শহরের অধিকাংশ বড় পুজোর খরচ বহন করে স্পনসর শিপ। কিন্তু করোনা ধাক্কায় এবার স্পনসর শিপ পাওয়ার তেমন কোনও দিশা দেখছেন না পুজো উদ্যোক্তারা। কারণ লকডাউনে বিপুল ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে সব সংস্থাকে। বিপুল ক্ষতি স্বীকার করতে হয়েছে সব ক্ষেত্রের ব্যবসায়ীদের। কাজেই পুজোর যে স্পনসরশিপেও ধাক্কা খাবে তার আশঙ্কায় প্রহর গুণছেন পুজো উদ্যোক্তারা। কারণ চাঁদা আদায় করে বড় পুজো করা সম্ভব হয় না। কাজেই লাখ লাখ টাকার পুজো বাজেট যে এবার মুখ থুবরে পড়বে তাতে কোনও সন্দেহ নেই।
পুজোর উপর নির্ভর শিল্পী-কারিগররা শঙ্কায়
মহানগরে মোট ৩০০০টি দুর্গাপুজো হয়ে থাকে। তার উপর নির্ভর করে থাকেন অসংখ্য শিল্পী, কারগর, ডেকোরেটরস, প্রতিমাশিল্পীরা। কুমোরটুলিতে তার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। বাইরের পুজোর বরাত আসা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ডেকোরেটার্সদের এখনও বুকিং শুরু হয়নি। পুজোর ফান্ডে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। যদিও বড় পুজোর উদ্যোক্তারা এখনও নিরাশার কোনও খবর শোনাননি। তবে তাঁরাও যে চিন্তায় আছেন তাতে কোনও সন্দেহ নেই।