কলকাতায় অমিত শাহের পুজো উদ্বোধন! আয়োজক কমিটির মধ্যে দ্বন্দ্ব
অমিত শাহকে দিয়ে কলকাতার দুর্গা পুজোর উদ্বোধনে দ্বন্দ্ব যেন কাটছেই না। এবার দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে সল্টলেকের বিজে ব্লকের পুজো কমিটির কর্তাদের মধ্যে।
অমিত শাহকে দিয়ে কলকাতার দুর্গা পুজোর উদ্বোধনে দ্বন্দ্ব যেন কাটছেই না। এবার দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে সল্টলেকের বিজে ব্লকের পুজো কমিটির কর্তাদের মধ্যে। বিজেপির তরফ থেকে ৫ টি পুজো বেছে অমিত শাহের কাছে পাঠানো হয়েছিল। সেখান থেকে বিজে ব্লকের পুজোটিকেই তিনি বেছে নিয়েছেন। রাজ্য বিজেপির নেতা সায়ন্তন বসু জানিয়েছেন, অমিত শাহ ১ অক্টোবর সন্ধে সাতটায় ওই পুজোর উদ্বোধন করবেন।
পুজোয় রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের বিরোধী একপক্ষ
পুজোয় কোনও রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ চান। জানিয়েছেন বিজে ব্লকের পুজো কমিটির কর্তাদের একাংশ। দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে যদি অমিত শাহ পুজোর উদ্বোধন করেন, তাতে কোনও বিরোধ নেই বলেও জানান ওই কর্তা। পুজো কমিটির সভাপতির আগ্রহেই অমিত শাহ আসছেন বলেও জানানো হয় বিজে ব্লকের পুজো কমিটির তরফে।
এদিন সাংবাদিক সম্মেলন করে বিতর্ক তৈরি করেন পুজো কমিটির সেক্রেটারি অনিন্দ সিনহা রায়। তিনি জানান , এখানে যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এখানে আসছিলেন সেটা তারা জানতেন না। তাদেক কমিটি ও তিনি কেউ জানতো না তাকে ইনভাইট করা হয়েছে কি হয়নি। তাদের প্রেসিডেন্ট এটা করেছেন। পরবর্তীতে যখন জানা যায় এ ব্যাপারে যথেষ্ট অপমানিত বোধ করেন তিনি এবং তাঁর কমিটির সবাই। ওনাকে জিজ্ঞাসা করা হলে জানান ভুল হয়ে গেছে। যেহেতু উনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ওনাকে সন্মান জানাতে হয়। পার্টির হয়ে আসছে না উনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী হিসেবে আসছেন সেই হিসাবে আসলে আসতেই পারেন। উদ্বোধন করতে চাইলে করতেই পারেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর নেতৃত্বে দেখেছি, মানুষের জন্য পাশে থাকার জন্য, তারা মানুষের কাছে থাকবেন। কে উদ্বোধন করছে না করছে তার থেকে বড় কথা তারা মানুষের কাছে থাকবেন।
কোন্দলের প্রশ্নই নেই, বলছেন অপর পক্ষ
অন্যদিকে পুজো কমিটির অপর পক্ষের কর্তারা জানাচ্ছেন , অমিত শাহকে দিয়ে পুজোর উদ্বোধনে কোনও বিরোধ নেই। কোন্দলেরও কোনও প্রশ্ন নেই। সল্টলেকের চেয়ারম্যান কৃষ্ণা বসু এবং বিধায়ক তথা মন্ত্রী সুজিত বসুকেও আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে বলেও জানানো হয়েছে।
বিজে ব্লক পুজো কমিটির অর্গানাইজিং প্রেসিডেন্ট উমাসঙ্কর ঘোষ দস্তিদার জানান, যাঁরা বলছেন তাঁরা বাজে কথা বলছেন । তাঁদের পুজো কমিটি সব মিটিং হয়ে যাওয়ার পর সিদ্ধান্ত হয়। এত বড় সেন্ট্রাল মিনিস্টার আসলে তাঁর সিকিউরিটি ব্যাপার থাকে। তাঁরা প্রতিবছর সকলকেই জানান। কিন্তু কোনও দিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সেখানে যাননি। যেহেতু এবছর তাদের কাছে অফার এসেছে তাই তাঁরা তা নিয়ে আলোচনা করেছেন পুজো কমিটির সঙ্গে। তাঁদের পুজো কমিটির মধ্যে কোন রাজনৈতিক কালার নেই বলেও দাবি করেন উমাশঙ্কর ঘোষ দস্তিদার।
এলাকা পরিদর্শন এসপিজির
এসপিজি
বিধাননগর
পুলিশকে
নিয়ে
ঘটনাস্থল
পরিদর্শন
করতেই
পরিস্থিতি
সামনে
আসে
বলে
অভিযোগ।
ঘটনাস্থলের
নিরাপত্তা
খতিয়ে
দেখতে
এদিন
এসপিজির
আধিকারিকরা
ঘটনাস্থলে
যান।
উদ্বোধন
করতে
বিশেষ
গেট
দিয়ে
ডুকবেন
কেন্দ্রীয়
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
অমিত
শাহ।
ভিতরে
তাঁর
ভাষণ
শোনার
জন্য
১৫০
টি
আসনের
বন্দোবস্ত
থাকবে।
এদিন
এই
বিষয়
নিয়েই
এসপিজি,
বিধাননগর
পুলিশ
আলোচনা
করে
পুজো
কমিটির
সঙ্গে।
রাজ্য
বিজেপির
নেতা
সায়ন্তন
বসু
জানিয়েছেন,
রাজ্য
সম্পাদক
তুষারকান্তি
ঘোষ
বিষয়টি
দেখছেন।
তবে
অমিত
শাহ
যে
ওই
পুজোই
১
অক্টোবর
সন্ধে
সাতটায়
উদ্বোধন
করবেন,
তা
তিনি
সাফ
জানিয়ে
দেন।