আগুন নেভানো নিয়ে চাপানউতোর! সরকারি পদক্ষেপে নতুন দাবি ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীদের
আগুন নেভাতে নামানো হোক সেনা। এমনটাই দাবি করলেন বাগরি মার্কেটের ব্যবসায়ীরা। তাদের অভিযোগ দমকল সঠিক সময়ে কাজ শুরু করেনি। ফলে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
আগুন নেভাতে নামানো হোক সেনা। এমনটাই দাবি করলেন বাগরি মার্কেটের ব্যবসায়ীরা। তাদের অভিযোগ দমকল সঠিক সময়ে কাজ শুরু করেনি। ফলে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। যদিও ব্যবসায়ীদের ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মেয়র তথা দমকলমন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়। বিল্ডিং-এ দাহ্য বস্তু মজুত থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বাগরি মার্কেটের আগুন ভয়াবহ। এই ধরনের আগুন নেভাতে ২৪ থেকে ৪৮ ঘন্টা সময় লাগতে পারে। ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে এমনটাই বললেন দমকলের ডিজি। যদিও এই কথায় উত্তেজনা ছড়ায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে। বাগরি মার্কেটকে কি নম্দরাম মারপ্কেট বানানোর চেষ্টা চলছে, সেই প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা।
১২ ঘন্টা পরেও আগরি মার্কেটের আগুন না নেভায় সেখানকার ব্যবসায়ীরা পুলিশকর্তাদের কাছে হাত জোর করে সেনা নামানোর দাবি করলেন। ফোম ব্যবহার করে ঘন্টা খানেকের মধ্যে আগুন নেভানো সম্ভব বলে মনে করছেন তাঁরা।
[আরও পড়ুন:Live Fire- বাগরি মার্কেট অগ্নিকাণ্ডে ১০ ঘণ্টা পার, ৪৮ ঘণ্টা সময় লাগার সম্ভাবনা]
স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, রাত আড়াইটেয় খবর দেওয়ার পর দমকল এলেও, জলের অভাব দেখা দেয়। চারটের পরে আগুন নেভানোর কাজ শুরু হয়। ততক্ষণে আগুন বাগরি মার্কেটের একতলা ছাড়িয়ে দোতলাতেও ছড়িয়ে পড়েছে। এন্যদিকে মেয়র স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অভিযোগ খণ্ডন করে বলেছেন, এলাকায় রাস্তা সরু। দমকলের যাতায়াত কিংবা দমকলকর্মীদের কাজে অসুবিধা হচ্ছে। তাছাড়াও এলাকা জুড়ে তার ছড়িয়ে থাকায় ল্যাডার ব্যবহার করে আগুন নেভাতেও অসুবিধা হচ্ছে। দমকল মন্ত্রী তথা মেয়রের আরও দাবি, বাড়িটিতে প্রচুর পরিমাণে দাহ্য বস্তু মজুত করে রেখেছিলেন ব্যবসায়ীরা।
[আরও পড়ুন: পুজোর আগে মাথায় হাত ব্যবসায়ীদের, বাগরি মার্কেট আগুনে ক্ষতির পরিমাণ কয়েক কোটির ]