লক্ষ্মণের পথ কণ্টকময়! কংগ্রেসের অবস্থানে বিরাট প্রশ্নচিহ্ন তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যতে
বিজেপি ছাড়ার পর দল পাননি তিনি। নিজে ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন হয় তৃণমূল, নতুবা কংগ্রেসে যেতে চান তিনি। কিন্তু সেপথেও ফের বিপত্তি বাধল।
বিজেপি ছাড়ার পর দল পাননি তিনি। নিজে ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন হয় তৃণমূল, নতুবা কংগ্রেসে যেতে চান তিনি। কিন্তু তৃণমূলে যে তাঁর জায়গা হবে না তা আগেই স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন শুভেন্দ্র অধিকারী ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়রা। অবশেষে তিনি যখন দল পেলেন বলে রাজনৈতিক মহল ধরেই নিয়েছিল, তখনই ফের বিপত্তি বাধল।
কংগ্রেসের পথও অনিশ্চিত
কংগ্রেসে যাওয়ার পথও অনিশ্চিত হয়ে গেল লক্ষ্মণ শেঠের। শুক্রবার কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার কথা থাকলেও প্রাক্তন বাম নেতা লক্ষ্মণ শেঠের আর তেরঙ্গা পতাকা হাতে তোলা হল না। কংগ্রেসে মত পার্থক্য থাকার জন্য তাঁকে দলে যোগ দান করানো হয়নি এদিন। যদিও শুক্রবার প্রদেশে কংগ্রেস কমিটির জরুরি বৈঠকের পরই বিধানভবনে এসে দলীয় পতাকা হাতে তুলে নেন রাজ্যের সংখ্যালঘু কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ইমতিয়াজ আলি শাহ।
দুয়ার খুলল না বিধান ভবনের!
লক্ষ্মণ শেঠ নিজেও প্রস্তুত ছিলেন কংগ্রেসে যোগ দিতে, হলদিয়া থেকে তিনি চলেও এসেছিলেন কলকাতায়। যখন স্রেফ সময়ের অপেক্ষা, তখনই কংগ্রেসের তরফে যোগদান স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জানানো হয়, জরুরি বৈঠকের জন্য এদিন যোগদান হচ্ছে না, ২৬ ফেব্রুয়ারির পর ফের যোগদান হবে বলে জানিয়েছেন লক্ষ্মণ শেঠ।
তবু কংগ্রেসই শেষ আশ্রয়!
২০১৪ সালে সিপিএম থেকে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন তিনি। তারপর ২০১৬ সালে যোগ দেন বিজেপিতে। আবার ২০১৮ সালেই বিজেপির সঙ্গে মধুচন্দ্রিমা শেষ হয়ে যায় লক্ষ্মণের। এরপর তিনি তৃণমূলে পা বাড়িয়েছিলেন। কিন্তু সেই দরজা খোলেনি। তাই কংগ্রেসকেই তিনি শেষ অবলম্বন করতে চেয়েছিলেন। সেখানেও বিপত্তি।
লক্ষ্মণে দু-ভাগ কংগ্রেস
সোমেন মিত্র প্রদেশ কংগ্রেস হওয়ার পরই লক্ষ্মণ শেঠ দেখা করতে ছুটে এসেছিলেন। তখনই তিনি কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে ইচ্ছাপ্রকাশ করেন। কংগ্রেস তাঁকে দলে নেওয়ার ব্যাপারে সম্মত হলেও এক পক্ষ বেঁকে বসে। লক্ষ্মণ শেঠকে দলে নিলে দল ছাড়ার হুঙ্কার ছেড়েছিলেন বিধানসভা বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান। তাই সোমেন মিত্র লক্ষ্মণ শেঠকে নিয়ে ধীরে চলো নীতি নেন।