তৃণমূলের সঙ্গে জোটের পথে আরও এক ধাপ এগোল কংগ্রেস, ২০১৯-এর লক্ষ্যে রাহুল
রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান পদে তৃণমূল প্রার্থী সুখেন্দুশেখর রায়কেই সমর্থন জানাবে কংগ্রেস। রাজ্যসভায় কংগ্রেস সংখ্যাগরিষ্ঠ হলেও বিরোধী ঐক্যের স্বার্থে ওই পদটি তৃণমূলকে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাহুল-সোনিয়ারা। বিজেপি যদি এই আসনে লড়াইয়ের ব্যাপারে এককাট্টা থাকে, তবে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীকেই সমর্থন জানাবে কংগ্রেস।

রাহুল গান্ধী, সোনিয়া গান্ধীরা মনে করেন, এই আসনে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী দিলে বিরোধী ঐক্যের মজবুত চেহারাটা আরও শক্তিশালী হয়ে দেখা দেবে। কংগ্রেস প্রার্থী দিলে বিজেডি, টিআরএস, টিডিপি-রা নাও সমর্থন করতে পারে। কিন্তু তৃণমূলের সুখেন্দুশেখর রায়কে সমর্থন করতে তাদের কোনও বাধা থাকবে না। বিজেপি প্রার্থীর পরাজয় আরও নিশ্চিত হবে।
সেইসঙ্গে কংগ্রেস মনে করছে, এই পদটি ছেড়ে দেওয়ার ফলে জোটের বড়দা হিসেবে ত্যাগের নমুনাও সামনে রাখা যাবে।
[আরও পড়ুন: ৩১ টি সেরা কাজ! পুরস্কারে তাক লাগাল মমতার বাংলা]
কর্ণাটকে যে ত্যাগ স্বীকার করেছে কংগ্রেস, তারপর রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান নির্বাচনের ক্ষেত্রে তৃণমূল কংগ্রেসকে পদ ছাড়লে, তা আসন্ন লোকসভার জন্য বিরোধী ঐক্যকে আরও মজবুত করবে।
স্থির হয়েছে, ১৮ জুলাই শুরু হতে চলা বাদল অধিবেশনে ডেপুটি চেয়ারম্যান নির্বাচনের প্রক্রিয়া শেষ হবে। তার জন্য আগে থেকেই কোমর বেঁধে নামছে কংগ্রেস। ৫১ জন সাংসদ থাকলেও কংগ্রেস এই পদে প্রার্থী দিতে ইচ্ছুক নয়। বরং সমর্থন দিতেই আগ্রহী। উল্লেখ্য, স্বাধীনতার পর থেকেই রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যানের পদে একটানা রয়েছে কংগ্রেস। ব্যতিক্রম শুধু ১৯৬৯ সাল থেকে ১৯৭৭ সাল- এই আট বছর।
সাধারণত এই পদটিতে নির্বাচন হয় না। মনোনীত করা হয় কোনও সাংসদকে। উপরাষ্ট্রপতির অবর্তমান তিনি রাজ্যসভা পরিচালনা করেন। এখন এই পদে রয়েছে কংগ্রেসের পি কুরিয়ান। এবার এই পদটির জন্য সম্মুখ সমরে অবতীর্ণ হতে চলেছে বিজেপি ও বিরোজী ঐক্যরা।
[আরও পড়ুন: দিলীপের টার্গেট-২২ তত্ত্ব খারিজ, বঙ্গ-বিজেপির কাছ থেকে নতুন 'আশা' খুঁজলেন অমিত]
তবে এর আগেও একবার নির্বাচন হয়েছিল। ১৯৯২ সালে নির্বাচন হয়েছিল কংগ্রেস প্রার্থী নাজমা হেপাতুল্লা পরাজিত করেছিলেন বিরোধী প্রার্থী রেণুকা চৌধুরীকে। এবার আবার সেই ভোটাভুটির মাধ্যমেই স্থির হওয়ার অবস্থা রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যানের।