লোকসভা নির্বাচনে বঙ্গে জোট পাকা হল সিপিএম-কংগ্রেসের, কে লড়ছে কত আসনে
কংগ্রেস শেষ পর্যন্ত রায়গঞ্জ ও মুর্শিদাবাদ আসন দুটি বামেদের ছেড়ে দিতে সম্মত হওয়ায় সিপিএম তথা বামফ্রন্টও কংগ্রেসকে বাড়তি আসন ছাড়তে রাজি হয়ে গেল।
রাহুল গান্ধীর হস্তক্ষেপে জোটের জট খুলতেই শুরু হল আসন রফা নিয়ে আলোচনা। কংগ্রেস শেষ পর্যন্ত রায়গঞ্জ ও মুর্শিদাবাদ আসন দুটি বামেদের ছেড়ে দিতে সম্মত হওয়ায় সিপিএম তথা বামফ্রন্টও কংগ্রেসকে বাড়তি আসন ছাড়তে রাজি হয়ে গেল। দিল্লির ১০ জনপথ ও একে গোপালন ভবনের মধ্যস্থতায় সব সমস্যার সমাধান হল এক লহমায়।
বিশেষ সূত্র খবর শেষপর্যন্ত বাম-কংগ্রেসের জোট পাকা হচ্ছে ২৫-১৭ ফর্মুলায়। অর্থাৎ ২৫টি আসনে প্রার্থী দেবে বামেরা। কংগ্রেস লড়বে ১৭ আসনে। এর আগে ২৯-১৩ ফর্মুলা দিয়েছিল বামেরা। কিন্তু রায়গঞ্জ ও মুর্শিদাবাদের দাবি থেকে সরে আসার শর্ত হিসেবে আরও চারটি আসন ছাড়তে রাজি হয়ে যায় এ কে গোপালন ভবন।
বামফ্রন্টের বড় শরিক সিপিএম আগেই ঘোষণা করেছিল, ৯টি আসন শরিকদের ছাড়বে। ফলে নতুন বাম-কংগ্রেস জোট শর্তে সিপিএমের হাতে থাকবে ১৬টি আসন। অর্থাৎ সিপিএমের থেকে বেশি আসনে প্রার্থী দেবে কংগ্রেস। রায়গঞ্জ ও মুর্শিদাবাদের দাবি থেকে সরে আসার পুরস্কার স্বরূপ এই বাড়তি আসন পাচ্ছে কংগ্রেস।
বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান দুই আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে দেওয়ার জোটের জট পাকিয়ে গিয়েছিল। সেই খবর পেয়েই হস্তক্ষেপ করেন রাহুল গান্ধী। রায়গঞ্জে দীপা দাশমুন্সি আর মুর্শিদাবাদে অধীর চৌধুরী বেঁকে বসেছিলেন। রাহুল গান্ধী উভয়কে বুঝিয়ে রাজি করান। দীপাকে রাজ্যসভায় পাঠানো হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন রাহুল। আর রায়গঞ্জ ও মুর্শিদাবাদের দাবি থেকে সরে আসার জন্য আরও বাড়তি চার আসন আদায় করে নেন রাহুল।