৪২-এর সঙ্গে ২২-এর দ্বন্দ্ব, ৪২০ নাকি ১৬৪! রাজ্যে ১৯-এর লড়াই এবার ‘চতুর্মুখী’
লোকসভার আসন প্রাপ্তি নিয়ে এ এক অভিনব দ্বন্দ্ব। একদল বলছে ৪২-এ ৪২ চাই। অন্য আর একটা দল বলছে ৪২-এ তাদের টার্গেট ২২। ৪২ চাইছে তৃণমূল আর ২২ চাইছে বিজেপি।
লোকসভার আসন প্রাপ্তি নিয়ে এ এক অভিনব দ্বন্দ্ব। একদল বলছে ৪২-এ ৪২ চাই। অন্য আর একটা দল বলছে ৪২-এ তাদের টার্গেট ২২। ৪২ চাইছে তৃণমূল আর ২২ চাইছে বিজেপি। তাহলে কোথায় যাবে কংগ্রেস ও বামেরা। তাঁরা তৃণমূল ও বিজেপির এমনতর দাবি নিয়ে কটাক্ষ করে অদ্ভুত সব সমীকরণের গল্প ফাঁদছেন।
৪২ না ৪২০, নাকি ৪২ প্লাস ২২
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী আগেই তৃণমূলকে কটাক্ষ করে বলেছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো বলছেন ৪২-এ ৪২ পাবেন। ওই ৪২ না একটা শূন্য যোগ হয়ে ৪২০ (ফোর টোয়েন্টি বা চারশো বিশ) হয়ে যায়। এখন শুনছি, বিজেপি বলছে তাদের ২২ চাই। তাহলে ইতিমধ্যেই ৪২ প্লাস ২২, ৬৪ হয়ে গেল। তাহলে আমরা কোথায় যাব, প্রশ্ন তোলেন তিনি।
[আরও পড়ুন: ‘মমতার মতো শত্রু থাকলে বন্ধু খোঁজার দরকার নেই, আড়ালে বলেন মোদী!' খোঁচা সুজনের ]
৪২ প্লাস ২২ সমান ৬৪ না ১৬৪ হয়ে যায়
সুজন চক্রবর্তী বলেন, একদন বলছে ৪২-এ ৪২ চাই। অন্য দল বলছে ৪২-এ ২২। এখানেই হয়ে গেল ৬৪টি। তা আবার ১৬৪-ও হয়ে যেতে পারে। তাও কিন্তু অসম্ভব নয়। বিজেপি আসলে বলতে চাইছে, অনেক তো সাহায্য করলাম এবার বাংলায় ৪২-এ ২২ দাও। দু-দলের এখন আসন সেটিংয়ের তরজা চলছে বলে কটাক্ষ করেন সুজন।
[আরও পড়ুন: তৃণমূলের ‘বন্ধু'রাই বিজেপিকে বাঁচানোর শক্তি, যুক্তি দিয়ে বুঝিয়ে দিলেন ‘প্রকৃত শত্রু'রা]
২২ লোকসভার আগে ২২ বিধানসভা জিতুক
অমিত শাহ পুনরায় ৪২-এ ২২-এর টার্গেট খাঁড়া করায় তৃণমূলের শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, আগে তো ২২টি বিধানসভা জিতে দেখাক বিজেপি, তারপর লোকসভার স্বপ্ন দেখবে। অমিত শাহকে কটাক্ষ করে এদিন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, বিজেপি দিবাস্বপ্ন দেখছে। একটা লোকসভায় সাতটি বিধানসভা আসন থাকে, তা-ই এখনও জিততে পারেনি। আগে ২২টা বিধানসভা জিতুক, তারপর ২২টি লোকসভা আসন জেতার স্বপ্ন দেখবে।
[আরও পড়ুন:ফের চোখ মারলেন রাহুল! এক ইশারাতেই মুছল সব ভেদাভেদ, উঠল হাসির রোল]
১৯শে টার্গেট ২২, তৃণমূল ফিনিশ
দিলীপ ঘোষের কাছে লোকসভার টার্গেট জানতে চেয়েছিলেন অমিত শাহ। দিলীপ ঘোষ ২২টি লোকসভা জেতার টার্গেট দিয়েছিলেন। কলকাতায় এসে সেই ২২টি লোকসভা আসনে জেতার কথা বলেছেন অমিত শাহ। দিলীপ ঘোষ বলেন, আমরা ২২টি আসনেই জেতার মতো জায়গায় রয়েছি। পঞ্চায়েতের মতো লোকসভায় রাজ্যপুলিশ দিয়ে ভোট হবে না। লোকসভা ভোটের পরই তৃণমূল বুঝবে কত ধানে কত চাল।