ভাঙনের ঠেলায় ‘মর্যাদা’য় কোপ! বিধানসভায় কংগ্রেসকে সংখ্যালঘু করতে মরিয়া তৃণমূল
বামফ্রন্টের সঙ্গে জোট করে বিধানসভা বিরোধী দলের মর্যাদা পেয়েছিল কংগ্রেস। রাজ্য বিধানসভায় বিরোধী আসন লাভে জাতীয় কংগ্রেস জোট গড়ে লাভবানই হয়েছিল। কিন্তু তৃণমূলের হানায় তাও শেষরক্ষা হল না।
বামফ্রন্টের সঙ্গে জোট করে বিধানসভা বিরোধী দলের মর্যাদা পেয়েছিল কংগ্রেস। রাজ্য বিধানসভায় বিরোধী আসন লাভে জাতীয় কংগ্রেস জোট গড়ে লাভবানই হয়েছিল। পরিবর্তনের রাজ্যে বিধানসভা বামফ্রন্টের বিরোধী তকমাও চলে গিয়েছিল ২০১৬-য়। এবার কংগ্রেসের বিরোধী মর্যাদাও হানি হতে চলেছে। তৃণমূলের হানায় কংগ্রেস নামতে চলেছে ৩০-এরও নিচে। ফলে বিধানসভায় তাঁরা সংখ্যালঘু হতে চলেছে।
[আরও পড়ুন:মুকুল বিহনে পঞ্চায়েতে 'নেতা' খুঁজে পেল তৃণমূল, শোভনকেও বার্তা মমতা]
৪২ থেকে কমতে কমতে এখন ৩১-এ দাঁড়িয়েছে কংগ্রেস। এরপরও তৃণমূলের থাবায় রক্তক্ষরণ হয়েই চলেছে। একমাসের ভিতরে তিন বিধায়ক কংগ্রেস ছেড়ে যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। আরও তিন বিধায়ক পা বাড়িয়ে আছেন তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য। আর এই দলবদল হয়ে গেলে বামফ্রন্টেরও নিচে নামবে কংগ্রেস বিধায়কের সংখ্যা।
যদিও খাতায়-কলমে বিধানসভায় বিরোধী মর্যাদা এখনই চলে যাবে না কংগ্রেসের। তবু শক্তির বিচারে, সংখ্যাতত্ত্বের বিচারে তারা পিছিয়ে পড়বে বামেদের থেকে। বামেদের বিধায়ক সংখ্যা বর্তমানে ৩০। কংগ্রেস এবার তারও নিচে নামতে পারে। অন্ততবর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি সেরকমই ইঙ্গিত করছে।
দলত্যাগী বিধায়করা বিধানসভায় কংগ্রেস বিধায়ক বলেই গণ্য হওয়ায় কংগ্রেস বিরোধী তকমা ধরে রাখবে ঠিকই, কিন্তু মর্যাদায় হানি হবে। আর এর প্রভাব পড়বে ভবিষ্যৎ রাজনীতিতেও। ২০১৯-এর ভোটের আগে কংগ্রেস-তৃণমূল ঐক্যে যা বড় প্রশ্নচিহ্ন তুলে দিতে পারে।
[আরও পড়ুন:তৃণমূলী হানায় ভাঙন অব্যাহত কংগ্রেসে, মমতার দুয়ারে আরও তিন বিধায়ক অপেক্ষায় ]