আরবিআই গভর্নরকে ঘিরে বিমানবন্দরে বেনজির বিক্ষোভ কংগ্রেসকর্মীদের
দিনভর সুচতুরভাবে সংবাদমাদ্যমকে এড়িয়ে গেলেও কলকাতা সফরের একবারে শেষ ল্যাপে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর ধরা পড়ে গেলেন কংগ্রেস কর্মীদের কাছে।
কলকাতা, ১৬ ডিসেম্বর : দিনভর সুচতুরভাবে সংবাদমাদ্যমকে এড়িয়ে গেলেও কলকাতা সফরের একবারে শেষ ল্যাপে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর ধরা পড়ে গেলেন কংগ্রেস কর্মীদের কাছে। বৃহস্পতিবার দিল্লি ফিরে যাওয়ার সময় আরবিআই গভর্নর উর্জিত প্যাটলকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখান কংগ্রেস কর্মীরা। শুরু হয়ে যায় ধস্তাধস্তি।
নোট দুর্ভোগের জন্য বুধবার রাতে বিশেষ বৈঠকে যোগ দিতে কলকাতায় এসেছিলেন উর্জিত প্যাটেল। নতুন গভর্নর নিযুক্ত হওয়ার পর এটাই তাঁর প্রথম কলকাতা সফর। এই নোট দুর্ভোগের মধ্যে সংবাদমাধ্যমকে এড়াতে তিনি বিমান বন্দরের পিছনের গেট দিয়ে রাজ্য প্রশাসনের কড়ভয় না নিয়েই হোটেলে ঢুকে পড়েন বুধবার রাতে।
বৃহস্পিতবার সকালেও দেখা যায় সংবাদমাধ্যমকে এড়ানোর জন্য ১ ঘণ্টা ১৪ মিনিট আগে রিজার্ভ ব্যাঙ্কে ঢুকে যান। এক্ষেত্রেও তিনি ব্যবহার করেন পিছনের দরজা।
বিকেলে নবান্ন গেলেও তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হননি, করেননি কোনও সাংবাদিক সম্মেলনও। তাঁর নীরব থাকা নিয়ে মুখ খোলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি বলেন, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক একটি স্বশাসিত সংস্থা। সেই সংস্থার গভর্নর আপনি। কেন নীরব থাকছেন? আপনার মুখ থেকে সঙ্কটমোচনের কথা শুনতে চান মানুষ। তবু নিশ্চুপই ছিলেন উর্জিত প্যাটেল।
রাতে তিনি দিল্লি উড়ে যাওয়ার সময় অবশ্য কংগ্রেস-কর্মীদের হাতে বন্দি হয়ে গেলেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর। কনভয় থেকে বের হয়ে বিমানবন্দরে প্রবেশের মুখেই কংগ্রেস কর্মীরা তাঁকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। কেন তিনি নীরব, তা জানতে চান কর্মীরা। তা নিয়েই শুরু হয়ে যায় ধস্তাধস্তি। নিরাপত্তাকর্মীরা কোনওরকমে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক গভর্নরকে সরিয়ে নিয়ে যান।
কংগ্রেস কর্মীদের এই বিক্ষোভ প্রদর্শন প্রসঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন, সমুচিক কাজই করেছেন কংগ্রেস কর্মীরা। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর হিসেবে এই টাকার আকালের দায় এড়াতে পারেন না তিনি। পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমও এই বিক্ষোভে কোনও দোষ দেখছেন না। মানুষ তাঁদের দাবি তুলে ধরতে চেয়েছেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নরের কাছে। বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকজন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নরকে কালো পতাকা দেখানো, হেনস্থা করার মধ্যে কী গণতন্ত্র রয়েছে বুঝি না।