ভেঙে ফেলা হোক পোস্তা উড়ালপুল, সরকারকে প্রস্তাব বিশেষজ্ঞ কমিটির
পোস্তা উড়ালপুলের থেকে যাওয়া অংশ ভেঙে ফেলা হোক। উড়ালপুলের অবস্থা নিয়ে সমীক্ষার পর এমনটাই মত দিল রাজ্য সরকারের বিশেষ তদন্ত কমিটি।
পোস্তা উড়ালপুলের থেকে যাওয়া অংশ ভেঙে ফেলা হোক। উড়ালপুলের অবস্থা নিয়ে সমীক্ষার পর এমনটাই মত দিল রাজ্য সরকারের বিশেষ তদন্ত কমিটি।
২০১৬ সালের ৩১ মার্চ উড়ালপুলের একাংশ ভেঙে পড়ে ২৭ জনের মৃত্যু হয়। তদন্তে দেখা যায় উড়ালপুলটিতে একাধিক পরিকাঠামোগত ত্রুটি রয়েছে। উড়ালপুলের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে বিশেষ তদন্ত কমিটি গঠন করে রাজ্য সরকার। কমিটিতে ছিলেন রাজ্যের তৎকালীন মুখ্যসচিব বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং খড়গপুর আইআইটি-র তিন অধ্যাপক।
শুধু ভেঙে পড়া অংশেই নয়, এই ত্রুটি ছড়িয়ে গোটা উড়ালপুলেই। এমনই ত্রুটি যে, তা পুরোপুরি মেরামত করে যান চলাচলের উপযুক্ত করে তোলা সম্ভব নয়, এমনটাই মত বিশেষজ্ঞ কমিটির। এমনকী উড়ালপুলের বর্তমান পরিস্থিতি এমন যে তার নীচ দিয়ে গাড়ি চালানোও নিরাপদ নয়। বিশষজ্ঞদের মত, পুরোপুরি ভেঙে ফেলাই এই সমস্যা থেকে পাকাপাকিভাবে বেরিয়ে আসার একমাত্র পথ।
তদন্ত কমিটি তাদের সিদ্ধান্ত জানানোর আগে বিভিন্ন ইঞ্জিনিয়ারিং সংস্থার আলোচনা করে। এলাকার মাটির মানও পরীক্ষা করা হয়। কমিটির রিপোর্টে জানানো হয়েছে, এলাকার মাটির মান খারাপ। ভবিষ্যতে এলাকায় নতুন করে উড়ালপুল তৈরি না করার পক্ষে কমিটি। কেননা নতুন করে সেতু নির্মাণ করা হলে, তা ভেঙে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।
২০১৬ সালের ৩১ মার্চ গিরিশ পার্ক থেকে পোস্তাগামী উড়ালপুলের বাঁদিকের অংশটি ভেঙে পড়ে। আগের দিন রাতেই ঢালাই করা হয়েছিল ভেঙে পড়া অংশ। পরেরদিনই গণেশ টকিজ মোড়ের কাছে পিলারের ওপরের অংশটি ভেঙে পড়ে।
উড়ালপুল ভেঙে পড়ার পর তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল রাজ্য সরকারের তরফে। প্রায় ৯ মাস পরে ২০১৬-র ডিসেম্বর জমা পড়ে তদন্তের রিপোর্ট। এই রিপোর্টে বিশেষ কমিটি খতিয়ে দেখেছে, কারা এই উড়ালপুল ভেঙে পড়র জন্য দায়ী। কোন কোন গাফিলিত ছিল এই উড়ালপুল ভেঙে পড়ার পিছনে।
উড়ালপুল ভেঙে পড়ার প্রায় একবছর নয়মাস পরে উড়ালপুলের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে রিপোর্ট দাখিল করা হল।