মেট্রোর আগুনে নজিরবিহীন পদক্ষেপ! তদন্তে কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি
মেট্রোয় আগুন লাগার ঘটনায় নজিরবিহীন পদক্ষেপ। ঘটনার তদন্ত করবে কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি।
মেট্রোয় আগুন লাগার ঘটনায় নজিরবিহীন পদক্ষেপ। ঘটনার তদন্ত করবে কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি। সোমবার থেকে প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলা শুরু। এরই মধ্যে সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞাপন নিয়ে প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলতে চয়েছে কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি।
রেল সূত্রে খবর মেট্রোর আগুন লাগার ঘটনা গুরুত্ব দিয়ে দেখছে ভারতীয় রেল। সেইজন্য কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটিকে দিয়ে তদন্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দেরি না করে ৩১ ডিসেম্বর থেকেই তদন্ত শুরু করবে তারা। যাঁরা প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন কিংবা যাঁরা ঘটনা সম্পর্কে বয়ান নথিভুক্ত করতে চান, তাদের ডাকা হয়েছে মেট্রোভবনে। সকাল দশটা থেকে অফিসাররা থাকবেন সেখানে।
যাঁরা মেট্রো ভবনে কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটির অফিসারদের সামনে হাজিরা দিতে চাইছেন না, কিংবা পারছেন না, তাঁরা কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটির কয়লাঘাটা অফিসে চিঠি লিখে জানাতে পারবেন।
কী ভাবে ঘটনাটি ঘটল, কোনও কর্মীর গাফিলতি ছিল কিনা, পুরো ঘটনাটাই যান্ত্রিক ত্রুটি ছিল কিনা তাও খতিয়ে দেখতে চায় কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটির অফিসাররা। ইতিমধ্যেই মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই ঘটনায় কর্মীদের তরফে কোনও ত্রুটি ছিল না। এছাড়াও দুর্ঘটনার পর মেট্রোর তরফে পরিষেবা দিতে দেরির যে অভিযোগ উঠেছে, তারও তদন্ত করা হবে বলবে সূত্রের খবর।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার মেট্রোয় আগুন লেগে আতঙ্ক ছড়ায়। বদ্ধ মেট্রোর মধ্যে আটকে পড়েন যাত্রীরা। কোনওরকমে প্রাণ নিয়ে বেঁচে ফিরলেও, এখনও ট্রমাচ্ছন্ন অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি অনেক যাত্রী। এই ঘটনায় কর্তৃপক্ষের দিকে অভিযোগের আঙুল ওঠে। প্রায় ২০ মিনিট দমবন্ধ অবস্থায় মেট্রোর টানেলের মধ্যে আটকে থাকতে হয়েছিল যাত্রীদের।
অন্ধকার, ধোঁয়ায় ভরে গিয়েছিল টানেল, সেই অবস্থায় কোনওরকমে মেট্রোর হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করা হলেও, সেই ফোন কেউ ধরেনি বলেও অভিযোগ। শেষমেশ জানলার কাঁচ ভেঙে লাইনে লাফ দিয়ে অনেক যাত্রী প্রাণে বাঁচেন। লাইন ধরে কোনওরকমে হেঁটে প্লাটফর্মে ওঠেন তাঁরা। আবার অনেকের পক্ষে তা সম্ভব হয়নি। তাই তাঁরা আটকে পড়েন মেট্রোর কামরাতেই।
বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই মেট্রো কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে দমকল।