পঞ্চায়েত নির্বাচনের জট কাটছেই না, নয়া নির্ঘণ্ট নিয়ে সংঘাত জারি রাজ্য-কমিশনের
আদালতের আইনি-ঝক্কি মিটলেও রাজ্য ও নির্বাচন কমিশনের মতানৈক্য বাধা হয়ে দাঁড়াল পঞ্চায়েত নির্বাচনে।
আদালতের আইনি-ঝক্কি মিটলেও রাজ্য ও নির্বাচন কমিশনের মতানৈক্য বাধা হয়ে দাঁড়াল পঞ্চায়েত নির্বাচনে। নির্বাচনের নয়া নির্ঘণ্ট জারি নিয়ে তীব্র মতানৈক্য তৈরি হয়েছে রাজ্য ও নির্বাচন কমিশনের। শুক্রবার রাত পর্যন্ত দফায় দফায় বৈঠক করেও মেলেনি সমাধান সূত্র। ফের শনিবার দুপুরে বৈঠক। এবার সর্বদল বৈঠক করেই একটা সিদ্ধান্ত উপনীত হতে চাইছে কমিশন।
শুক্রবার বিকেলে আদালতে মামলার ফয়সালা হওয়ার পর বিশেষজ্ঞ মহল মনে করেছিল ওইদিনই নয়া বিজ্ঞপ্তি জারি করে নির্ঘণ্ট প্রকাশ করে দেবে কমিশন। রাজ্যও সেটা চেয়েছিল। রাজ্য চেয়েছিল, শুক্রবার বিজ্ঞপ্তি জারি করে শনিবারই মনোনয়ন করিয়ে নিতে। তাহলে বাড়তি দুটো দিন সময় পাওয়া যেত। এবং রমজান মাসের আগে ভোট করে নেওয়া যেত।
কিন্তু নির্বাচন কমিশন রাজ্যের এই দাবির সঙ্গে সহমত হয়নি। এবার সব দিক আঁটোসাঁটো করেই নামতে চাইছে কমিশন। যথারীতি সর্বদল বৈঠক করে তবেই বিজ্ঞপ্তি জারি করতে উদ্যোগী হবে তারা। সেই কারণেই শনিবার দুপুরে ডাকা হয়েছে সর্বদল।
এই সর্বদল বৈঠক করে সহমতের ভিত্তিতে পঞ্চায়েত নির্ঘণ্ট প্রকাশ করবে কমিশন। আর কোনও বিতর্ক তৈরি হোক রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে, তা চায় না নির্বাচন কমিশন। রাজ্যের নির্বাচন কমিশনার চান না ফের একটা মামলা হোক, আর পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রশ্ন চিহ্ন উঠে পড়ুক।
শুধু বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ নিয়েই মতবিরোধ নয়, নয়া নির্ঘণ্ট নিয়েও রাজ্যের সঙ্গে একমত নয় নির্বাচন কমিশন। বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্য চায় ভোট হোক ১৩ ও ১৫ মে দু-দফায়। কিন্তু নির্বাচন কমিশন চায় তিন দফাতেই ভোট হোক। আপাতত এই বিতর্কেই আটকে আছে পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভবিষ্যৎ।
তার আগে শনিবার মামলাকারী সব দলের সঙ্গে বৈঠক করবে কমিশন। নির্বাচন কমিশন অভিযোগকারীদের মতামতকে গুরুত্ব দিয়েই এগোতে চাইছে এক্ষেত্রে। এই বৈঠকের নির্যাস নিয়েই রাজ্যের সঙ্গে কথা বলবে তারা। তারপর চূড়ান্ত হবে দিনক্ষণ। অযথা নতুন নির্ঘণ্ট নিয়ে তাড়াহুড়ো করে আর সমস্যা বাড়াতে চায় না নির্বাচন কমিশন।