রাজ্য সরকারি কর্মীদের নিয়ে বিশেষ ভাবনা মমতার, মুখ্যসচিবকে দিলেন গুরুদায়িত্ব
কোনও দফতরে কর্মী বেশি, কোথাও কর্মী নেই। রাজ্য সরকারের দফতরে দফতরে কর্মীসংখ্যার এই বৈষম্য প্রবল। এই বৈষম্য দূর করতে তাই বড়সড় সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কোনও দফতরে কর্মী বেশি, কোথাও কর্মী নেই। রাজ্য সরকারের দফতরে দফতরে কর্মীসংখ্যার এই বৈষম্য প্রবল। এই বৈষম্য দূর করতে তাই বড়সড় সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করে এই সমন্বয় সাধনের বার্তা দিয়েছেন।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেছেন। সেই বৈঠকেই এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যসচিবের নেতৃত্বাধীন কমিটিকে দায়িত্ব দিয়েছেন অপ্রয়োজনীয় পদ তুলে দেওয়ার। প্রয়োজনে কর্মীসংকট থাকা দফতরে নতুন পদ সৃষ্টি করে সমন্বয় সাধনের বার্তা দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন কালীঘাটের বাড়িতে দলীয় সংগঠন নিয়েও আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন। সেখানে জঙ্গলমহলের সংগঠনে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেন। সংগঠনে রদবদল করেন। তারপরেই নবান্নে মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে উদ্বৃত্ত কর্মীদের নিয়ে সিদ্ধান্ত নেন।
[আরও পড়ুন: রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দফতরে কর্মী নিয়োগ, কোন যোগ্যতা থাকলে করতে পারবেন আবেদন]
মুখ্যসচিবকে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, কোন দফতরের কতজন কর্মী রয়েছেন তার একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রস্তুত করতে। তারপর কোন দফতরে কত কর্মী প্রয়োজন, সেই তালিকার সঙ্গে সাযুজ্য রেখে দফতরের কর্মী অদলবদল করা হতে পারে। রাজ্যের সচিবালয়ের কর্মীসমস্যা দূর করতে এই দৃষ্টান্তমূলক সিদ্ধান্ত মমতা বন্দ্যাপাধ্যায়ের।
প্রয়োজনে অপ্রয়োজনীয় পদ তুলে দেওয়ার ক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মত দেন। এবং সেই পদের আধিকারিককে নিয়ে অন্য দফতরের দায়িত্ব দেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। এভাবেই বিভিন্ন দফতরের কর্মীদের নিয়ে সমন্বয়সাধন করলে অনেক সমস্যার সমাধান হবে বলে বিশ্বাস মুখ্যমন্ত্রীর।
[আরও পড়ুন: তৃণমূলের সংগঠনে ব্যাপক রদবদল জঙ্গলমহলে, মমতার নির্দেশে গঠিত বিশেষ কমিটি]