শোভনকে জোর ধমক নেত্রীর, কেন মেয়রকে ধমকালেন মমতা
বিধানসভার বাইরে সকলের সামনেই একেবারে প্রকাশ্যে নাকি ধমক খেয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রিয় কানন।
সময়টা ভালো যাচ্ছে না কলকাতার মহানাগরিক তথা রাজ্যের মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ সদস্য শোভন চট্টোপাধ্যায়ের। পারিবারিক বিবাদ তো রয়েইছে, তার উপরে দলনেত্রীর তোপের মুখেও পড়তে হচ্ছে। সবমিলিয়ে বেশ বিপাকে শোভন চট্টোপাধ্যায়।
সম্প্রতি আদালতে স্ত্রীর থেকে বিচ্ছেদ চেয়ে মামলা দায়ের করেছেন তিনি। স্ত্রীর চাহিদা ও বায়নাক্কা সামলাতে ও অর্থের জোগান দিতে ক্লান্ত, তাই বিচ্ছেদ করে সম্পর্ক থেকে সরে আসতে চাইছেন। আদালতে সেরকমই দাবি করেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, নারদ মামলায় তদন্তকারীদের সামনে মুখ খুলেছেন স্ত্রী রত্নার বিরুদ্ধে।
যার জেরে কখনও ইডি তো কখনও সিবিআইয়ের সমন পাঠিয়ে জেরা করছে রত্না চট্টোপাধ্যায়কে। তবে এই সমস্ত ঘটনা যে দল তথা দলনেত্রী ভালোভাবে নিচ্ছেন না তা প্রকাশ্যেই বুঝিয়ে দিয়েছেন মমতা। বিধানসভার বাইরে সকলের সামনেই একেবারে প্রকাশ্যে নাকি ধমক খেয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রিয় কানন।
ঘটনা হল, শোভনবাবু দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার তৃণমূল সভাধিপতি। তাঁর স্ত্রী রত্না এই জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী। আর শ্বশুর দুলাল দাস মহেশতলা পুরসভার চেয়ারম্যান। শোভনের পারিবারিক বিবাদে তাই দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে বলে কেউ কেউ দলের মধ্যে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। যার জেরে মমতা শোভনকে ডেকে কড়কে দিয়েছেন।
পারিবারিক বিবাদ যাই থাকুক তা সরিয়ে দেখে জেলায় দলের কর্তৃত্ব যাতে বজায় থাকে, সব কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়, সেদিকে নজর রাখতে বলা হয়েছে শোভনবাবুকে। এছাড়া রত্নাদেবী ও দুলাল দাসের কাছেও দলের বার্তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে বলে দলীয় সূত্রে খবর। এই বিষয় নিয়ে যাতে বিরোধীরা রাজনীতি করার সুযোগ না পায়, সেই নিয়ে সতর্ক দল। আর তাই আগেভাগেই কাননকে ধমকে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছেন দলনেত্রী মমতা।