মোদীর ধোঁকায় আর ভুলবে না দেশবাসী! কেন্দ্রের নয়া ঘোষণা মমতার কাছে প্রতারণা
২০১৯ লোকসভা ভোটের আগে ফের প্রতারণা করছে কেন্দ্র। দেশের মানুষ কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে যোগ্য জবাব দেবে। জবাব দেবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে।
দেশের উচ্চশ্রেণির মানুষের জন্য এবার সংরক্ষণ ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তার পরিপ্রেক্ষিতে বললেন, এই সংরক্ষণ আসলে দেশের সাধারণ মানুষ, বেকার যুবক ও কৃষকদের কাছে প্রতারণা। ২০১৯ লোকসভা ভোটের আগে ফের প্রতারণা করছে কেন্দ্র। দেশের মানুষ কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে যোগ্য জবাব দেবে। জবাব দেবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে।
সোমবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সত্যিই যদি আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষেরা সংরক্ষণ পায়, তবে আমি খুশিই হব। কিন্তু সাংবিধানিকভাবে এই সংরক্ষণ কীভাবে সম্ভব তা আগে কেন্দ্রকে পরিষ্কার করতে হবে। তা না করে শুধু ঘোষণা করেই কাজ সারলে হবে না। মনে রাখতে হবে সরকারের নির্ধারিত সময়ের শেষে পৌঁছে গিয়েছে, এই সরকারের হাতে আর সময়. নেই।
মমতা বলেন, গোটা দেশ বিপদের মধ্যে রয়েছে। দেশের বেকার সমস্যা মাত্রাছাড়া। তখন সংরক্ষণের গল্প ফেঁদে ফের প্রতারণা করছে সরকার। এটা একটা বিপজ্জনক প্রবণতা। তিনি কেন্দ্রকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলেন, কেন্দ্র আগে জানাক, এটা সম্ভব কী করে। কেননা, সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী ৫০ শতাংশের বেশি সংরক্ষণ দেওয়া যায় না। তাহলে কেন এই ঘোষণা। এই ঘোষণা আসলে শুধুই ধোঁকা।
উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় সরকার সোমবার সিদ্ধান্ত নেয় উচ্চশ্রেণির জন্য শিক্ষা ও সরকারি চাকরিতে ১০ শতাংশ সংরক্ষণ করা হচ্ছে। যাঁদের বার্ষিক আয় ৮ লক্ষ টাকার কম বা কৃষি দমির পরিমাণ ৫ একরের কম, তাঁরা এই সুবিধার আওতায় আসবেন। এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে গেলে ভারতীয় সংবিধানের ১৫ ও ১৬ নম্বর ধারা পরিবর্তন করতে হবে। ইতিমধ্যেই দেশের সমস্ত সরকারি চাকরিক্ষেত্রে তফশিলি জাতি ও উপজাতির জন্য ৫০ শতাংশ আসন সংরক্ষিত।