'অত্যন্ত ভদ্র মানুষ, আশা করছি সমস্যা আর হবে না', রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠক শেষে জানালেন মমতা
আর বড়দিনের আগেই ক্রিসমাসের শুভেচ্ছা জানাতে রাজভবনে গেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বড়দিনের শুভেচ্ছা জানাতে গেলেও রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ((Dr. C.V. Ananda Bose)-এর সঙ্গে প্রায় এক ঘন্টা বৈঠক সারলেন প্রশাসনিক প্রধান।
সামনেই বড়দিন। ক্রিসমাসে মেতে উঠবে কলকাতা সহ গোটা বাংলা। আর বড়দিনের আগেই ক্রিসমাসের শুভেচ্ছা জানাতে রাজভবনে গেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বড়দিনের শুভেচ্ছা জানাতে গেলেও রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ((Dr. C.V. Ananda Bose)-এর সঙ্গে প্রায় এক ঘন্টা বৈঠক সারলেন প্রশাসনিক প্রধান।
যেখানে আটকে থাকা বিল সহ একাধিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, দীর্ঘ এক ঘন্টার বৈঠকে নয়া রাজ্যপালকে নিয়ে সন্তোষও প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। যা সাম্প্রতিক অবস্থাতে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
রাজ্য সরকারকে খুব সাহায্য করছেন
এরপর রাজভবন থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেখানে তিনি বলেন, রাজ্যপালকে বড়দিনের শুভেচ্ছা জানতেই আসা। উনি খুবই ভদ্র মানুষ। এমনকি ব্যবহারও খুব ভালো বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। শুধু তাই নয়, রাজ্য সরকারকে খুব সাহায্য করছেন বলেও জানান তিনি। আলোচনার মাধ্যমে সমস্ত সমস্যা কাটানো সম্ভব বলে মনে করেন প্রশাসনিক প্রধান। তবে ধনখড়ের সময়ে আটকে থাকা একাধিক বিল নিয়ে আলোচনা হয়েছে কিনা সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন। আর তাঁর উত্তরে মমতা বলেন, রাজ্যপালের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে। আশা করি আর কোনও সমস্যা হবে না।
রাজভবন এবং নবান্নের মধ্যে সংঘাত দেখেছে
বলে রাখা প্রয়োজন, ধনখড়ের সময়ে কার্যত প্রত্যেকদিনই রাজভবন এবং নবান্নের মধ্যে সংঘাত দেখেছে বাংলার মানুষ। বারবার রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তৎকালীন রাজ্যপাল। বারবার তৃণমূলের তরফে ধনখড়ের বিরুদ্ধে নালিশ জানানো হয়েছে। এমনকি তাঁকে পরিবর্তনের কথা বলা হয়। আর এর মধ্যেই বাংলার রাজ্যপাল হিসাবে সিভি আনন্দ বোসকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আর এরপর থেকে বারবার সৌজন্যতার রাজনীতি দেখা গিয়েছে। শপথের দিনে রসগোল্লা পাঠানো থেকে বড়দিনের শুভেচ্ছা জানাতে আসা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
চাপ বাড়াবে না বিজেপির?
অন্যদিকে সামনে ফেব্রুয়ারি মাসের ছয় তারিখ আর্থিক বাজেট পেশ হতে চলেছে রাজ্য বিধানসভাতে। বাজেট অধিবেশনের শুরুর দিন সেখানে রাজ্যপাল হিসাবে প্রথম ভাষণ দেবেন আনন্দ। এমনটাই মন্ত্রিসভার বৈঠকে চূড়ান্ত হয়। আর এরপরেই রাজভবনে আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর প্রায় ১ ঘন্টা বৈঠক হয় সিভি আনন্দ বোস এবং মমতার মধ্যে। আর এই দীর্ঘ বৈঠকের পরেই মমতার চোখে ভদ্র মানুষ আনন্দ বোস। আর সেটাই শুভেন্দু-সুকান্তদের উপর চাপ বাড়াবে না তো? এমনটাই প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলের। যদিও এই বিষয়ে বঙ্গ বিজেপির তরফে কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।