মাঝেরহাটে ৪ লেনের ব্রিজ উদ্বোধন মমতার! বিলম্বের জন্য দায়ী করলেন কেন্দ্রকে
মাঝেরহাটে ৪ লেনের ব্রিজ উদ্বোধন মমতার! বিলম্বের জন্য দায়ী করলেন কেন্দ্রকে
দুবছর তিন মাসের অপেক্ষার অবসান। এদিন বিকেলে মাঝেরহাট ব্রিজের (majerhat bridge) উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata banerjee)। বোতাম টিপে ব্রিজের উদ্বোধন করার পর মুখ্যমন্ত্রী এই ব্রিজের ওপর দিয়ে হেঁটেও যান। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ইতিমধ্যেই এই ব্রিজের নাম দেওয়া হয়েছে জয়হিন্দ ব্রিজ।
ব্রিজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কেন্দ্রকে নিশানা মমতার
এদিন ব্রিজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে কেন্দ্রকে নিশানা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, রেল অনুমতি দিলে নয় মাস আগেই ব্রিজটি চালু করা যেত। তিনি অভিযোগ করেন ব্রিজ নিয়ে রেলের কাছে বারবার দরবার করতে হয়েছে।
৩১১. ৭৬ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি হয়েছে ব্রিজ
এই ব্রিজটি তৈরি করতে রাজ্য সরকারের প্রায় ৩১১. ৭৬ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। এর মধ্যে রেলকে দিতে হয়েছে ৩৪ কোটি টাকা। পোর্ট ট্রাস্টকে দিতে হয়েছে ৭৭ লক্ষ টাকা। যা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি প্রশ্ন করেন রেল কেন রাজ্য সরকারের থেকে টাকা নেবে। তিনি কটাক্ষ করে বলেন, রাজ্য সরকার ব্রিজ তৈরি করবে আর নাম কিনবে রেল। তিনি বলেন, টালার ব্রিজ ভাঙতেও টাকা নিয়েছে রেল। টালা ব্রিজের জন্য রেলকে ৭৭ কোটি টাকা দিতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কটাক্ষ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ভাত দেওয়ার ক্ষমতা নেই, কিল মারার গোঁসাই। এর আগেও মুখ্যমন্ত্রী এই ব্রিজ নিয়ে রেলের বিরুদ্ধে টালবাহানার অভিযোগ করেছিলেন।
এই ব্রিজে রয়েছে সেন্সর। অতিরিক্ত ভার বহন হলেই সেন্সরে সিগন্যাল পৌঁছে যাবে লালবাজারে। সেতুটির দৈর্ঘ ৬৩৬ মিটার, চওড়া ১৬ মিটার। জানা গিয়েছে সেতুটি ৩৮ মেট্রিক টন ভার বহন করতে পারবে। আপাতত মাঝারি ও ভারী পণ্যবাহী গাড়িগুলিতে এই ব্রিজের ওপর দিয়ে চলার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। অন্যদিকে আলিপুরে বেইলি ব্রিজটিও আপাতত চালু থাকবে বলে জানা গিয়েছে।
কলকাতা ও আশপাশে আরও নতুন ব্রিজ
এদিনের অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী একাধিক ব্রিজ তৈরির কথা ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, গার্ডেনরিচ, বজবজ, পার্কসার্কাস, নিউমার্কেট, তারাতলা, টালিগঞ্জ, আনোয়ার শা রোড, যাদবপুরে একটি করে ব্রিজ তৈরি করা হবে।
উৎসাহী মানুষের ভিড়
এদিন ব্রিজকে ঘিরে ছিল উৎসাহী মানুষের ভিড়। অনেকেই ব্রিজ দেখতে এসেছিলেন দূর থেকে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী নিরাপত্তার কারণে চেয়ার দিয়ে ব্রিজের রাস্তা আটকানো হয়েছিল। এই ব্রিজ চালু হওয়ায় শুধু বেহালা, ঠাকুরপুকুর, জোকা নয়, মহেশতলা, বজবজ-সহ বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ এর সুবিধা পাবেন। ২০১৮-র সেপ্টেম্বরের শুরুতে এই ব্রিজটি ভেঙে পড়েছিল।
রাজ্যের নয় লক্ষ পড়ুয়াকে দেওয়া হবে ট্যাব! নবান্ন থেকে ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর