খাসমহলে জমির মালিকানা লক্ষাধিক পরিবারকে, উদ্বাস্তু কলোনিকে সরকারি স্বীকৃতি মমতার
এবার থেকে জমি কেনাবেচায় মিউটেশন হবে অনলাইনে। সেই বৈপ্লবিক ঘোষণার পাশাপাশি আরও এক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এবার থেকে জমি কেনাবেচায় মিউটেশন হবে অনলাইনে। সেই বৈপ্লবিক ঘোষণার পাশাপাশি আরও এক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা. খাসমহলে এবার মালিকানা প্রদান করা হবে। প্রায় এক লক্ষ মানুষ এর ফলে উপকৃত হরবে। মোট কথা তাঁর এই সিদ্ধান্তে উদ্বাস্তু কলোনি পাবে সরকারি স্বীকৃতি।
এক লক্ষ মালিকানা প্রদান
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবার নবান্নে বলেন, মেদিনীপুর-খড়গপুরের খাসমহলে প্রায় ১৬১৮ একর খাস জমি রয়েছে। সেই জমিতে যে সমস্ত উদ্বাস্তুরা বাস করেন, তাঁদের অধিকার দেওয়া হবে। এর ফলে এক লক্ষ মানুষ জমির মালিকানা পাবেন। উদ্বাস্তু কলোনির এই সরকারি স্বীকৃতি শুধু মেদিনীপুর বা খড়গপুর নয়, আলিপুরদুয়ারেও বেশ কিছু পরিবারকে জমির মালিকানা পাবেন।
খাসমহল সিদ্ধান্তে উদ্বাস্তুদের পাশে
সম্প্রতি উদ্বাস্তুদের নিয়ে রাজনৈতিক তরজা চলছে। বিশেষ করে অসমে এনআরসির পর এ রাজ্যেও জাতীয় নাগরিকপঞ্জির দাবি তোলে বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী জানান, তিনি সমস্ত উদ্বাস্তুদের আশ্রয় দেবেন। উদ্বাস্তুরাও তাঁর ভাই। তাঁদের মাথার ছাদ কেউ কেড়ে নিতে পারবে না। তিনি তা হতে দেবেন না। এই পরিপ্রেক্ষিতে তিনি উদ্বাস্তু দিবসেও বিশেষ বার্তা দেন। তারপর খাসমহল নিয়ে তাঁর এই সিদ্ধান্ত বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।
অনলাইনে মিউটেশন, বৈপ্লবিক সিদ্ধান্ত
তার আগে এদিন নবান্নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, এবার থেকে জমি কেনাবেচায় মিউটেশন হবে অনলাইনেই। ফলে আর যেতে হবে না ব্লকের ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরে। ঘরে বসেই মিউটেশন করে নিতে পারবেন। এই সিদ্ধান্তকে তিনি বড় সিদ্ধান্ত ও বৈপ্লবিক সিদ্ধান্ত বলে ব্যাখ্যা করেন।
দুর্নীতি বরদাস্ত নয়
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মিউটেশন অনলাইনে হলে শুধু সময়ই বাঁচবে তা নয়, টাকা চাওয়ার যে অভিযোগ উঠত, তা থেকে রেহাইও মিলবে জমির ক্রেতা-বিক্রেতাদের। আমার কাছে এমন অভিযোগ অনেক আসত যে, মিউটেশন করতে গেলে তাঁদের কাছে টাকা চাওয়া হচ্ছে। এই দুর্নীতি বা ঘুষ নেওয়ার ঘুঘুর বাসা ভাঙতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।
[আরও পড়ুন:জমি কেনাবেচায় মিউটেশন এবার অনলাইনে! ঘুঘুর বাসা ভেঙে বৈপ্লবিক সিদ্ধান্ত মমতার]