পাহাড় ইস্যুতে নবান্নে সর্বদল বৈঠক, গুরুংকে গ্রেফতারির ব্লু প্রিন্ট কি তৈরি হবে এখানেই
আজ সোমবার ফের নবান্নে পরিস্থিতি পর্যালোচনায় সর্বদল বৈঠক হওয়ার কথা।
দিন দুয়েক আগে দার্জিলিংয়ের লিম্বু বস্তিতে বিমল গুরুংকে ধরতে গিয়ে দুষ্কৃতীদের গুলিতে শহিদ হন রাজ্য পুলিশের এসআই অমিতাভ মালিক। গোর্খা জনমুক্তি নেতা গুরুং সেই ফাঁকে নদী পেরিয়ে পালিয়ে যান। তারপরে রবিবার ভোররাতে পাতলেবাসে বিমল গুরুংয়ের অফিসের সামনে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় একটি রেশনের দোকানে। তার জেরে পাশের তিনটি বাড়ি সম্পূর্ণ ভস্মীভূত।
সবমিলিয়ে পাহাড় ফের একবার অশান্ত হয়ে উঠেছে। বিমল গুরুংকে ধরতে সর্বাত্মক অভিযানে নেমেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। তারই মধ্যে পাহাড় থেকে সাত কোম্পানি আধাসেনা তুলে নেওয়ার কথা বলেছে কেন্দ্র। এই প্রেক্ষিতে আজ সোমবার ফের নবান্নে পরিস্থিতি পর্যালোচনায় সর্বদল বৈঠক হওয়ার কথা।
পাহাড়ের রাজনৈতিক দলগুলিকে এক টেবলে নিয়ে এসে সমাধানসূত্র বের করতে চাইছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। তার মধ্যেই এখন সবচেয়ে আশু কর্তব্য বিমল গুরুংকে গ্রেফতার। সেই নিয়ে বৈঠকে কোনও আলোচনা হয় কিনা তা পরেই স্পষ্ট হবে।
বিনয় তামাংকে জিটিএ-র দায়িত্ব দেওয়ার পর থেকে এমনিতেই গোর্খাদের মধ্যে বিভাজন স্পষ্ট হয়েছে। এবার পাহাড়ে উন্নয়নের কাজ শুরু করে বিমলপন্থীদের আরও কোণঠাসা করার চেষ্টায় রাজ্য সরকার।
জিটিএ-র উন্নয়ন ও পাহাড়ের পুরসভার উন্নয়ন নিয়ে বিনয়ের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কর্মীদের বকেয়া বেতন মিটিয়ে দেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে। উন্নয়নের প্রেক্ষিতে আর কোন কোন ইস্যুতে পাহাড় সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করবে মমতা সরকার তা এদিনের বৈঠকের পরই স্পষ্ট হবে।