অধ্যাপকদের জন্য বেতন বৃদ্ধির সুখবর শোনালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা! জানালেন ইউজিসি হারে বেতন নির্ধারণ
কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালেয়র শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জন্য বেতন বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালেয়র শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জন্য বেতন বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন নেতাজি ইন্ডোরে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালেয়র শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সঙ্গে এক বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপকদের বেতন বৃদ্ধির কথা নিজের মুখে ঘোষণা করেন। ইউজিসির বেতনক্রম মানার কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী। ২০২০-র জানুয়ারি থেকে এই বেতন বৃদ্ধি কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
কলকাতা ও যাদবপুরকে পুরস্কার
উৎকর্ষের তালিকায় স্থান করে নেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রী এদিন কলকাতা এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সম্মান জানান। তিনি বলেন, বাংলার মেধা পৃথিবার গর্বের। অধ্যাপকদের স্বীকৃতি দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, তাঁদের জন্যই আজ পড়ুয়ারা বাইরে যাচ্ছে। বাংলার চেতনাকেও গর্বের বিষয় বলে উল্লেখ করেন তিনি।
'কেন্দ্র ও রাজ্যের বেতন কাঠামো আলাদা'
এদিন অধ্যাপকদের জন্য বেতন বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কেন্দ্র ও রাজ্যের বেতন কাঠামো আলাদা। তাঁরা কমিটমেন্টকে রেসপেক্ট করেন বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী। একই সঙ্গে তিনি বলেন, তাঁর সরকার গরিবের সরকার। মুখ্যমন্ত্রীর মতে কেন্দ্রের কাছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক রয়েছে। কিন্তু রাজ্যের কাছে নেই। এছাড়াও রাজ্যকে ৫০ হাজার কোটি টাকার ঋণ শোধ করতে হচ্ছে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী।
২০২০-র জানুয়ারি থেকে বেতন বৃদ্ধি কার্যকর
মুখ্যমন্ত্রী এদিন জানান কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য ২০২০-র জানুয়ারি থেকে বেতন বৃদ্ধি কার্যকর করা হবে। ২০১৬ থেকে প্রতিবছরে ৩ শতাংশ করে ইনক্রিমেন্ট দেওয়া হবে। গেস্ট লেকচারার এবং পার্টটাইম লেকচারারদের জন্যও সরকারের ভাবনার কথা জানান। মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, তাঁদের জন্য প্রতিমাসে প্রতিমাসে পাঁচ হাজার টাকা করে বাড়ানো হবে। ইউজিসির সংশোধিত বেতনক্রম কার্যকর করার কথাও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
অসন্তুষ্ট অধ্যাপকদের প্রতি বার্তা
বেতন বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করার পরেই মুখ্যমন্ত্রী বারবার অধ্যাপক, অধ্যাপিকাদের মনোভাব জানার চেষ্টা করেন। নেতাজি ইন্ডোরে মুখ্যমন্ত্রী জানতে চান তাঁদের বক্তব্য। কিন্তু কেউ কোনও সাড়া দেননি। এই সময় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কারও মনে কিন্তু থাকলে ক্ষমা চাইছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী স্বীকার করেন তিনি বেশি দিতে পারেননি। ভবিষ্যতে আয় বাড়াতে পারলে ফের ভাবনা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী অসন্তুষ্ট অধ্যাপকদের মনের ভাব বুঝতে পেরে বলেন, একটু হাসি নেই মুখে। একটু খুশি হলে ভাল হয়।
দিল্লির পুলিশ সদর দফতরের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন পুলিশকর্মীদেরই
ব্যাঙ্ক জালিয়াতি মামলায় দেশের ১৬৯টি শহরে চলছে সিবিআইয়ের অভিযান