ভবিষ্যতের রাজনৈতিক লড়াই! সিপিএম এবং কংগ্রেসকে মমতা দিলেন 'উপদেশ'
এদিন ২১-এর মঞ্চ থেকে রাজ্যে সিপিএম এবং কংগ্রেসকে উপদেশও দেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ডাল না কেটে লড়াই কর।
এদিন ২১-এর মঞ্চ থেকে রাজ্যে সিপিএম এবং কংগ্রেসকে উপদেশও দেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ডাল না কেটে লড়াই কর। তৃণমূলকে সমর্থন করতে হবে না বলেও, এদিন জানিয়েদেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যে সিপিএম এবং কংগ্রেসের সাইনবোর্ড হয়ে যাওয়ার কথাও এদিন উল্লেখ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
যদিও মাসখানের আগে চিত্রটা ছিল অন্যরকমের। ভোটের ফল বেরনোর পর তৃণমূল ছেড়ে যাওয়ার হিড়িক পড়েছিল। সেই পরিস্থিতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কার্যত সিপিএম এবং কংগ্রেসকে কাছে টানার বার্তা দিয়েছিলেন। বিধানসভায় তিনি বলেছিলেন, সিপিএম কংগ্রেস দেশটাকে ভাঙবে না। তাঁর ভয় বিজেপি সংবিধানটাকে বদলে না দেয়। তাদের যৌথভাবে আসা দরকার বলেও মন্তব্য করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই বার্তা নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল সিপিএম এবং কংগ্রেস নেতৃত্ব। সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম বলেছিলেন, ভোটের প্রচার তৃণমূল নেত্রীর বক্তব্য ছিল সিপিএম, কংগ্রেস ও বিজেপি একসঙ্গে লড়াই করছে। সংকীর্ণ দলীয় স্বার্থে ভোটের সময় তিনি মিথ্যাচার করেছিলেন, সেটা স্বীকার করুন। পাশাপাশি সিপিএম নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করার দাবি করেছিলেন তিনি।
অন্যদিকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র বলেছিলেন, তিনি একসময় বলচেন কংগ্রেসকে সাইনবোর্ড করে দেবেন। আবার বলছেন কংগ্রেস দেশটাকে ভাঙবে না। কোনটা সত্যি আগে ঠিক করুন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই রাজনৈতিক শোরগোলের মধ্যে তৃণমূলের তরফে জানানো হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে।
রাজনৈতিকভাবে দেখা গিয়েছে লোকসভা ভোটের পর থেকে জেলায় জেলায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাম কিংবা কংগ্রেসের স্থানীয় নেতা কর্মীরা বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন। এতেই রাজনৈতিকভাবে চাপে তৃণমূল। একদিকে লোকসভা ভোটের ফলের নিরিখে রাজ্যে ২৯৪ টি আসনের মধ্যে ১৩০ টি আসনে এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল। ২০২১-কে সামনে রেখে রাজনৈতিক লড়াইটা যে তৃণমূলের পক্ষে যথেষ্টই কঠিন, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এদিন ২১-এর মঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হয়ত বলতে চেয়েছেন, বিজেপিতে না গিয়ে রাজনৈতিক লড়াই করুন। যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই আবেদন কতটা কাজ করবে তা ভবিষ্যৎই বলবে।